1.5 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

এসএসসি পরীক্ষার্থীর খাতায় লিখে দিচ্ছিলেন শিক্ষক, অতঃপর…

এসএসসি পরীক্ষার্থীর খাতায় লিখে দিচ্ছিলেন শিক্ষক, অতঃপর…

পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে এক শিক্ষক পরীক্ষার্থীদের খাতায় লিখে দেওয়ার অভিযোগে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে দাখিল পরীক্ষাকেন্দ্রের হল সুপারসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রোববার এ অব্যাহতির আদেশ দেওয়া হয় । এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন।

- Advertisement -

ইউএনও অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন জানান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতিনিধি সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসী জান্নাত খান, কেন্দ্র সচিব ইসলামাবাদ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. রুকুন উদ্দিন, হল সুপার শাহগঞ্জ মনির উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার একেএম আব্দুল্লাহ। এ ছাড়া কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা ইসলামাবাদ আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া ও রাইশিমুল দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. ইবনুল হাসানকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষাকেন্দ্রের হল সুপার শাহগঞ্জ মনির উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার একেএম আব্দুল্লাহ জানান, পরীক্ষার কেন্দ্রে ডিউটিরত ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেখি নাই। ইউএনও স্যার কেন অব্যাহতি দিয়েছেন তাও জানি না।

ইউএনওর দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরোজা আফসানা জানান, ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, ইসলামাবাদ আলিম মাদ্রাসা পরীক্ষাকেন্দ্রের ৬নং কক্ষে মঙ্গলবার ২ মে আরবি প্রথমপর্বের পরীক্ষার দিনে কেন্দ্রের ভেতরে কিল্লাবোকাইনগর ফাজিল মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক মো. আব্দুস সাবুর প্রবেশ করেন। ওই কক্ষে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের খাতায় স্বহস্তে প্রশ্নের উত্তর লিখে দেন। দায়িত্ববিহীন অবস্থায় বহিরাগত শিক্ষক প্রবেশ করে পছন্দের স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অবৈধভাবে সহযোগিতা করায়

সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিকে অবহিত করেন। এ সংক্রান্ত কয়েকটি ছবিও মুঠোফোনে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রভাষক মো. আব্দুস সাবুর জানান, আমি ওই দিন পরীক্ষার ডিউটিতে ছিলাম না। তবে মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর বৃত্ত ভরাট ঠিকমতো করছে কিনা! শুধু তা দেখেছি। পরীক্ষার খাতায় লিখে দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউএনও ফৌজিয়া নাজনীন জানান, কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তারা ২০২৩ সনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় আর কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

তিনি আরও জানান, কক্ষের দায়িত্বে থাকা কক্ষ পরিদর্শকদের ও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র : যুগান্তর

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles