13.5 C
Toronto
সোমবার, মে ৬, ২০২৪

রাহুল গান্ধীর ২ বছরের জেল, সংসদ সদস্য পদ টিকবে?

রাহুল গান্ধীর ২ বছরের জেল, সংসদ সদস্য পদ টিকবে?

দুই বছরের কারাদণ্ডের পরপরই জামিন পেয়ে গেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কিন্তু ঠ্যালা সামলে উঠলেও বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারেননি রাহুল। এখন তোলপাড় চলছে তার সংসদ সদস্য পদের থাকা না থাকা নিয়ে। ক্ষমতাসীন বিজেপি বলছে, ভারতের জনপ্রতিনিধি নীতিমালা শাস্তি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই লোকসভার সদস্য পদও হারিয়েছেন তিনি। টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার পত্রিকা।

- Advertisement -

এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ‘সব মোদিরা কেন চোর হয়?’ তিনি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে, নীরব মোদিকে বোঝাতে এই মন্তব্য করেছিলেন। তবে এতে ‘মোদি’ পদবির সবার অপমান হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের সময় রাহুল গান্ধী স্লোগান তুলেছিলেন, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’। নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ শানাতেই এই রব তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা। সে বছরই লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকের কোলারের এক জনসভায় পলাতক ব্যবসায়ী নীরব মোদি ও ললিত মোদির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির নামের মিল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘সব মোদিরা কেন চোর হয়?’ এতে ‘মোদি’ পদবির সবার অপমান হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

এই মর্মে গুজরাটের সুরাটের এক আদালতে রাহুল গান্ধীর নামে মামলা করেছিলেন গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পুর্নেশ মোদি। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই রায় দিলেন আদালত। রায়ে রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের জেল দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে রাহুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে ৩০ দিনের জন্য সাজা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন বিচারক এইচএইচ বর্মা। তিনি জানিয়েছেন, ওই সময়সীমার মধ্যে রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারবেন রাহুল গান্ধী। রায় দানের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী।

প্রশ্ন উঠেছে সেখানেই। ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাহুলের সংসদ সদস্য পদ খারিজ হবে, নাকি আপাতত তিনি রেহাই পাবেন, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।

বিজেপির দাবি, নিম্ন আদালত যেহেতু দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেছে, কাজেই তার লোকসভার সদস্য পদ খারিজ হওয়াই উচিত। অন্যদিকে রাহুলের ঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা বলছেন, আদালত সাজা ঘোষণার পাশাপাশি জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করেছে। অর্থাৎ সাজা কার্যকর হচ্ছে না। ফলে উচ্চতর আদালতে জামিনের সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত সাংসদ পদ খারিজের সম্ভাবনা নেই।

রাহুলের আইনজীবী বাবু মঙ্গুকিয়া বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘নিম্ন আদালত সাজা কার্যকর মুলতবি রেখে জামিন মঞ্জুরের পরও জনপ্রতিনিধির পদ খারিজ করা হয়েছে, এমন কোনো নজির নেই।’

২০১৩ সালে বিচারপতি একে পট্টনায়ক এবং বিচারপতি এসজে মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এক রায়ে বলেন, নিম্ন আদালত সাজা কার্যকরের নির্দেশ দিলেই ‘অপরাধী’ জনপ্রতিনিধির পদ খারিজ হবে।

এক দশক আগে সুপ্রিমকোর্টের সেই রায়ের পর দেশটির ‘দাগি’ সংসদ সদস্য-বিধায়কদের বরখাস্তের প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত হয়। ১১ জন সংসদ সদস্যের পদ খারিজ হয়। সেখানে রাহুলের নাম জুড়বে কিনা, তা জানার জন্য সম্ভবত অপেক্ষা করতে হবে আরও এক মাস। উচ্চতর আদালতের রায় ঘোষণা পর্যন্ত।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles