4 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

নিজের পছন্দে বিয়ে করতে চাওয়ায় ‘পীর’ বাবার হাতে খুন হাফসা

নিজের পছন্দে বিয়ে করতে চাওয়ায় ‘পীর’ বাবার হাতে খুন হাফসা

নিজের পছন্দে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন হাফসা। কিন্তু সেটা মেনে নিতে পারেননি ‘পীর বাবা মতিন’। নিজের আস্তানার ছেলেকে বিয়ে করা নিয়ে দেন ভুল ফতোয়া। শুধু হাফসায় নয়, সঙ্গে তার আরো দুই বোনকে একই অভিযোগে মাথা ন্যাড়া করে দোররা মেরে মারাত্মক জখম করা হয়। একপর্যায়ে হাফসাকে পৈশাচিকভাবে খুন করে ‘পীর বাবা মতিন’। পরে রাতের আঁধারে ঘরের মধ্যে জানাজা পড়ে দেওয়া হয় কবর।

- Advertisement -

ঘটনাটি চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর গ্রিনভিউ আবাসিক এলাকার। এ ঘটনায় দীর্ঘ ১০ বছর পর উচ্চ আদালতে আসামিপক্ষের মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন (কোয়াশমেন্ট) খারিজ হওয়ায় চাঞ্চল্যকর এ মামলার বিচার শুরু হয়েছে।

আইনজীবী জিয়া হাবিব আহসান জানান, ২০১৯ সালে ১৪ মে উচ্চ আদালতে আসামির ফৌজদারি রিভিশন খারিজ হলে ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আদালত। মামলার এজাহার বহির্ভূত সাজানো সাক্ষী উপস্থাপন করে আসামিপক্ষ মামলা থেকে অব্যাহতি নেয়ার চেষ্টা চালায়। তবে চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর মামলার বাদি আবু দারদা জবানবন্দি দেন। পরে সোমবার বাকি সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দেন।

সোমবার অতিরিক্ত দ্বিতীয় মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আমিরুল ইসলামের আদালতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। আদালতে মূল আসামির বিরুদ্ধে এ খুনের বর্ণনা দেন তার আরেক সন্তান মামলার বাদী আবু দারদা। এ সময় পীর মতিনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন ছেলে ও মেয়রা। পরে আদালত আগামী ১৯ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যর তারিখ দিয়েছেন।

জানা যায়, ২০০৯ সালে ১৯ আগস্ট ওই এলাকায় পীর মতিনের আস্তানায় নিজের পছন্দ করা পাত্রকে বিয়ে করতে চাওয়ায় মেয়ে হাফসাকে দোররা মারেন বাবা মতিন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চাচা আব্দুস সবুর ও মতিনের কথিত প্রেমিকা নার্গিস। হাফসার সঙ্গে তার আরো দুই বোনকে একই অভিযোগে মাথা ন্যাড়া করে দোররা মেরে মারাত্মক জখম করা হয়। নির্যাতনে হাফসার মৃত্যুর পর রাতের আঁধারে ঘরের মধ্যে জানাজা পড়ে কবর দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা নেয়নি থানা।

পরে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে নির্যাতিতদের আইনি সহায়তা দেওয়া হয়। এ ঘটনার নির্যাতিতদের পক্ষে তার এক ভাই বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আদালতে মামলা করেন। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী তদন্ত শেষে আদালতে মামলার মূল আসামি মতিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। বাকি আসামিরা হলেন- মতিনের ভাই সবুর, স্ত্রী ডা. শাহিদা বেগম, মতিনের সঙ্গী নার্গিস বেগম এবং ছোট বোন বিনু বেগম। আইনি সহায়তা দিয়ে মামলাটি পরিচালনা করছে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের (বিএইচআরএফ) লিগ্যাল টিম।

সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles