দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কার হওয়া মো. জাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া ফের মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। বিতর্কিত ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে তার দলীয় মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে আবেদন করেছেন মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট কহিনুর ইসলাম সানি।
আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম প্রকল্পের কাজ না করেই একাধিক প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দে অনিয়মসহ চাঁদাবাজির মামলায় আসামি হয়ে জেল খেটেছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক তদন্ত করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বরাবর তাকে সাময়িক বহিষ্কার করার সুপারিশ করেন। জেলা প্রশাসকের সুপারিশের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গত ১১ সেপ্টেম্বর তাকে পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে এবং প্যানেল চেয়ারম্যানের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিংগাইর নির্দেশে তিনি প্যানেল চেয়ারম্যান শরীফ মিয়ার কাছে দায়িত্ব ন্যস্ত করেন।
আরও পড়ুন : বিএনপির আলোচনা সভা জনসমাবেশে রূপ নিয়েছে
জাহিদুল ইসলাম সাময়িক বহিষ্কার হওয়ার পর হাইকোর্টে রিট করে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে প্যানেল চেয়ারম্যান শরিফ মিয়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে লিভ টু আপিল করে জাহিদ চেয়ারম্যানের আদেশ স্থগিত করে দেন।
ঠিক এই সময়ে জাহিদ চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আদেশ গোপন করে মন্ত্রণালয়ে নিজের সমস্ত দুর্নীতি স্বীকার করে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী কাজ না করার মর্মে অঙ্গীকার করেন।
এ বিষয়ে জানতে মো. জাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়ার মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ বলেন, কেন্দ্রে তিন জনের নাম পাঠানো হয়। কেন্দ্র থেকে জাহিদুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই।