4 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলবে কি না, ঠিক করবে কর্তৃপক্ষ’

‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলবে কি না, ঠিক করবে কর্তৃপক্ষ’

ক্যাম্পাসের বাইরে ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় অংশগ্রহণ করার বিষয় একান্তই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ ঠিক করবেন জানিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি | সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের পলিসি, শৃঙ্খলা ও নিয়ম-কানুন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

- Advertisement -

গত মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) এই চিঠি পাঠানো হয়। চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যকে।

চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি এবং রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার বিষয়টি আমরা বিশেষভাবে অবগত। ট্রাষ্টের অধীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ মূলত একটি সেশনজট মুক্ত অলাভজনক, অরাজনৈতিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি প্রসঙ্গে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি কর্তৃক গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যকে স্বাগত জানান।

সমিতির চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষামন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, “কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কী নিয়মকানুন করল, কোন রাজনৈতিক দলের কী ব্যবস্থা হলো, সেটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলের বিষয়। সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঠিক করে না। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপও করে না। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় রাজনীতি থাকবে কি থাকবে না, তা সেই প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলে সিদ্ধান্ত নেবে।”

চিঠিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পলিসি, শৃঙ্খলা ও নিয়ম-কানুন অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে আসছে। বিশ্ব মানের কোর্স কারিকুলাম, সেমিষ্টার ভিত্তিক কর্মোপযোগী আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি, সেশনজট ও রাজনৈতিক সংঘাত মুক্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ দেশ-বিদেশে শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ও সুনাম অর্জন করেছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নানামুখী প্রতিভার বিকাশ ও নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জনের জন্য সহশিক্ষা ও অতিরিক্ত শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষার্থী সংগঠন তথা বিভিন্ন বিভাগ ও বিষয়ভিত্তিক স্টুডেন্ট ক্লাব নিয়মিতভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এসব ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় স্টুডেন্ট কমিটি কর্তৃক নিয়মিতভাবে আয়োজিত সেমিনার, সেম্পুজিয়াম, ওয়ার্কশপ, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক চর্চা, মন ও শরীর গঠনের মতো আবশ্যিক কাজগুলো আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ শিক্ষার্থীদের রাজনীতি সচেতনতা ও সম্পৃক্ততাকে নিরুৎসাহিত করে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতর দলীয় রাজনৈতিক কর্মকান্ড চলবে কিনা তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে উপাচার্যগণ শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিয়ম-কানুন বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সহমত ও সন্তুষ্ট। ক্যাম্পাসের বাইরে ইতিবাচকতা রাজনীতির ধারায় অংশগ্রহণ করার বিষয় একান্তই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ ঠিক করবেন।

শেখ কবির হোসেন বলেন, আমরা মনে করি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ তাদের পলিসি, শৃঙ্খলা ও নিয়ম-কানুন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

সূত্র : ঢাকাটাইমস

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles