7.9 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

অজু করে বাচ্চাকে দুধপান করালে অজু ভাঙে?

অজু করে বাচ্চাকে দুধপান করালে অজু ভাঙে?

নামাজের জন্য অজু ফরজ। আবার অজু ছাড়া কোরআন শরিফ স্পর্শ করা যায় না। হাদিসে অজুকে নামাজের চাবি বলা হয়েছে। আর নামাজকে বলা হয়েছে জান্নাতের চাবি। অনেক সময় অজু করার পর শিশুবাচ্চার মায়েরা নিজের সন্তানকে দুধ পান করান। এর কারণে অজু ভেঙে যায় কিনা এমন একটি দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েন অনেক মায়েরা।

- Advertisement -

এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফিকাহ শাস্ত্রের সমাধান হলো, শিশুকে দুধপান করালে নারীদের অজু ভাঙে না। কারণ এটি অজু ভঙের কারণ নয়। ফিকাহ শাস্ত্রে অজু ভঙের কারণগুলো নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে।

অজু ভঙের কারণগুলো হলো-

>>> পেশাব-পায়খানা করা বা বায়ু নির্গত হওয়া।

>>> শরীর থেকে রক্ত,পুঁজ বা পানি জাতীয় নাপাক কিছু বের হয়ে গড়িয়ে পড়া।

>>> চিৎ,কাত বা হেলান দিয়ে ঘুম যাওয়া।

>>> মুখ ভরে বমি করা।

>>> নামাজে শব্দ করে হাসা।

>>> পাগল, মাতাল ও বেহুশ হওয়া।

>>> থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া।

এর ভেতরে শিশুকে মায়ের বুকের দুধপান করানোকে অজু ভাঙার কারণ বলা হয়নি। তাই শিশুকে দুধপান করালে এরপর সেই অজুতে নামাজ কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে, এতে কোনো সমস্যা নেই। -(আননুতাফ ফিলফাতাওয়া: ২৬; শরহু মুখতাসারিত তহাবি: ১/৩৭০; আলআউসাত: ১/২৬৩)

পবিত্র কোরআনে অজুর বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে এবং তোমাদের মাথা মাসেহ করো ও দুই পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত করো’। -(সূরা মায়িদাহ : ৬)

নুয়াইম আল-মুজমির থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম। তিনি অজু করে বললেন, আমি রাসূল ( সা.)-কে বলতে শুনেছি যে, আমার উম্মতদেরকে কেয়ামতের দিন ‘গুররান-মুহাজ্জালীন’ বলে ডাকা হবে। (অর্থাৎ ওযুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো উজ্জ্বল অবস্থায় উপস্থিত হবে) কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার উজ্জ্বলতাকে বৃদ্ধি করতে সক্ষম, সে যেন তা (বৃদ্ধি) করে। -(বুখারী: ১৩৬)

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles