13.9 C
Toronto
শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪

ঢাবিতে ছাত্রীদের ওয়াশরুমে ছাত্রলীগ নেতা!

ঢাবিতে ছাত্রীদের ওয়াশরুমে ছাত্রলীগ নেতা!
অভিযুক্ত তানজিন আল আমিন ছবি সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে ‘মদ্যপ’ অবস্থায় ছাত্রীদের ওয়াশরুমে ঢুকে এক শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে একই প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম তানজিন আল আমিন। তিনি ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী, ঢাবি আবৃত্তি সংসদের সভাপতি এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক উপ-সম্পাদক।

হয়রানির শিকার ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি এ ঘটনার বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

- Advertisement -

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, ছাত্রলীগ নেতা তানজিন মদ্যপ অবস্থায় ছাত্রীদের ওয়াশরুমে ঢুকে টয়লেটের দরজা খোলা রেখে অর্ধনগ্ন হয়ে মূত্রত্যাগ করেন। এ সময় ওই ছাত্রীর দিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিও প্রদর্শন করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ও তার বন্ধুরা কথা বললে তানজিন ভুল স্বীকার করেননি। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজনসহ তাদের দেখে নেওয়ার ‘হুমকি’ দিয়ে চলে যান।

ওই ছাত্রী বলেন, ‘আমি তার (তানজিন) দ্বারা হওয়া হয়রানি ও হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে অনিরাপদ বোধ করছি এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ তদারকির মাধ্যমে দোষী ব্যক্তি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি চেয়ে বিচার প্রার্থনা করেছি।’ এছাড়া অভিযুক্ত তাকে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ নেতা তানজিন। তিনি বলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে নয়, ভুল করে আমি মেয়েদের ওয়াশরুমে ঢুকে যাই। সামনে একটা মেয়ে দেখে আমি বিষয়টি বুঝতে পারি এবং দ্রুত বের হয়ে যাই। মেয়েটি চিৎকার করতে থাকে এবং বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা তার বয়ফ্রেন্ড আমাকে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমি তাদের বলেছি, ইচ্ছাকৃতভাবে আমি সেখানে প্রবেশ করিনি। তবুও তারা বিষয়টি নেতিবাচকভাবে নিয়েছেন। পরে আমি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে সেখান থেকে বিদায় নিই।’

মদ্যপ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক, আমি বারবার স্যরি বলার পরও তিনি আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। আমি কোনোভাবেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলাম না।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ভুক্তভোগী ফোন করে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। অভিযোগপত্র এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

যদিও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান লিটু অভিযোগপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ ছুটির দিন হওয়ায় ভুক্তভোগীকে ইমেইলে অভিযোগপত্র দিতে বলেছি। তিনি অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিন দুপুর ১২টার মধ্যে হার্ডকপি জমা দিতে বলেছি। তারপর বিষয়টি আমরা দেখব।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles