2.9 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

কে এই ‘রহস্যময়’ সায়েফ আল-আদেল, আল-কায়েদার ‘পরবর্তী নেতা?’

কে এই ‘রহস্যময়’ সায়েফ আল-আদেল, আল-কায়েদার ‘পরবর্তী নেতা?’
<br >সায়েফ আল আদেল ২০০১ সালে এফবিআইএর প্রকাশিত ছবি

আল-কায়েদার নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হবার ঘটনাটি ছিল একেবারেই আকস্মিক।

এরপর স্বাভাবিকভাবেই যা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয় তা হলো: কে হতে যাচ্ছেন এই সংগঠনটির নতুন নেতা? আরো একটি প্রশ্ন-আল-কায়েদার এখন কি হবে এবং ২০২২ সালে এই সংগঠনটি আর প্রাসঙ্গিক আছে কিনা।

- Advertisement -

তবে মনে করা হচ্ছে-আল-কায়েদার পরবর্তী নেতা হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি এমন একজনের-যাকে অনেকে দেখেন একজন ‘রহস্যময়’ ব্যক্তি হিসেবে।
আল কায়েদার মিশন কী?

আল-কায়েদার লক্ষ্য হচ্ছে সারা বিশ্বে পশ্চিমা স্বার্থের ওপর আক্রমণ চালানো এবং এশিয়া ও আফ্রিকায় নানা দেশের সরকারের পতন ঘটানো-যারা তাদের মতে ‘পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে অতি ঘনিষ্ঠ’ এবং ‘যথেষ্ট ইসলামিক’ নয়।

তারা যে শুধু “ধর্মদ্রোহী সরকারগুলোকে” উৎখাত করার জন্যই লড়ছে তাই নয়-বর্তমানে ইসলামিক স্টেটের মত অন্য জিহাদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও তাদের লড়াই করতে হচ্ছে।

আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে ও সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমে এখনো বেশ জোরদার উপস্থিতি আছে আল-কায়েদার এবং তাদের গোপন আশ্রয়গুলোতে মার্কিন ও বিশেষ বাহিনীগুলো প্রায়ই ড্রোন হামলা চালিয়ে থাকে।

বিবিসির নিরাপত্তা বিশ্লেষক ফ্র্যাংক গার্ডনার বলছেন, আল-কায়েদা মূলত একটি মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। বিন লাদেন একজন সৌদি, আল-জাওয়াহিরি একজন মিশরীয়। তাদের সিনিয়র নেতৃত্বের প্রায় সবাই আরব।

আল-জাওয়াহিরি নিহত হবার পর আল-কায়েদা হয়তো চাইবে-একজন নতুন নেতা ও নতুন কৌশল নিয়ে তাদের ‘সুদিন’ আবার ফেরানোর চেষ্টায় নামতে। সম্ভাব্য এই পরবর্তী নেতা কে হতে পারেন-তার প্রতি আগ্রহের কারণ সেটাই। যার কথা সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে, সেই ‘রহস্যময় ব্যক্তি’টির নাম সায়েফ আল-আদেল।

মিশরে জন্ম নেয়া এই সায়েফ আল-আদেল হচ্ছেন আল-কায়েদার সেই পাঁচজন পুরোনো সদস্যদের একজন-যাদেরকে এক সময় আল-জাওয়াহিরির ডেপুটি হিসেবে দেখা হতো।

সেই পাঁচজনের মধ্যে একমাত্র এই আল-আদেলই বেঁচে আছেন। মনে করা হচ্ছে, তিনিই হয়তো হবেন আল-কায়েদার পরবর্তী নেতা-তবে এক্ষেত্রে একটা সমস্যা আছে।

সেটা হলো, আল-আদেল এখন বাস করছেন ইরানে এবং তিনি সেখানে নানা ধরনের বিধি-নিষেধের অধীন। তাছাড়া শিয়া-প্রধান ইরান হচ্ছে এমন একটি দেশ যাকে আল-কায়েদা তাদের ঘোর শত্রু হিসেবে দেখে থাকে।

আল-কায়েদার নেতার পদে অন্য প্রার্থীর তালিকা খুব একটা বড় নয়। কারণ, সংগঠনটির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে অনেকেরই আল-জাওয়াহিরির মতই পরিণতি হয়েছে।

এটাও হতে পারে যে-সোমালিয়ার আল-শাবাব, ইয়েমেনের একিউএপি, বা মালির জেএনআইএম-এর মতো তাদের আঞ্চলিক সংগঠনগুলোতে যে প্রধানরা রয়েছে, তাদের কোনো একজনকেও করা হতে পারে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা।

সে ক্ষেত্রে এটা হবে এক নজিরবিহীন ঘটনা। কিন্তু তা হয়তো খুব বিস্ময়কর কিছু হবে না। কারণ আল-জাওয়াহিরির সময় থেকেই আল-কায়েদায় এরকম “বিকেন্দ্রীকরণের” প্রবণতা বাড়ছিল।

যেমন ২০১৩ সালে একিউআইএম-এর নেতা নাসির আল-উহাইশিকে জাওয়াহিরির ডেপুটি হিসেবে নিয়োগ করা হয় বলে খবর বেরিয়েছিল।

এতে আভাস পাওয়া যায় যে “কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের” ভূমিকাতেও আঞ্চলিক নেতাদের নাম বিবেচনা করা হচ্ছে।

তবে আল-উহাইশির সে সুযোগ হবে না-কারণ তিনি ২০১৫ সালেই এক মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles