ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। জীবনের প্রতিটি জিনিসের ব্যাপারে এখানে বর্ণনা রয়েছে। সে হিসাবে নারীদের মাসিক বা হায়েজ ও নিফাস সম্পর্কেও ইসলামে নানা বিধি-নিষেধ রয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, ‘ওরা তোমাকে মাসিকের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এটা কষ্ট। তাই মাসিকের দিনগুলোতে নিজেদেরকে তাদের থেকে আলাদা রাখো। যতক্ষণ তারা পরিচ্ছন্ন হয়ে না যাচ্ছে, ততক্ষণ তাদের কাছে যাবে না। তারপর যখন তারা নিজেদেরকে পরিচ্ছন্ন করে, তখন তাদের কাছে যাও, যেখানে যেতে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে ভালোবাসেন, যারা বার বার তাঁর কাছে ক্ষমা চায়। তিনি তাদেরকে ভালোবাসেন যারা নিজেদেরকে সবসময় পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করে।’ আল-বাক্বারাহ ২২২
প্রতি চন্দ্র মাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে, তাকেই পিরিয়ড বা ঋতুচক্র বলে।
পিরিয়ডের সময় মুখস্থ সুরা পড়া যাবে কি? জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’য় একজন নারীর ঐ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
তিনি বলেন, পিরিয়ডের সময় আপনি মুখস্থ সুরা পড়ে আমল করতে পারবেন না। কিন্তু মোবাইলে তেলওয়াত শুনতে পারবেন। এটা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। উত্তম হচ্ছে এই সময়ে তেলওয়াত না করা। সেটা মুখস্থ হলেও না করা উত্তম। আল্লাহ তো আমাদের সহজ করে দিয়েছেন। তাহলে কেন কঠিন করতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা সুরা পড়া সুন্নাহ কিন্তু এই সময়ে না পড়ার বিধান তো আল্লাহ দিয়েছেন। এটা তো বাধ্যতামূলক। বিধানটা পালন করাই আপনার জন্য উত্তম। তাই এই সময়ে কোনো কিছু মুখস্থ থাকলেও পড়ার দরকার নেই। আপনি যদি শুনতে চান সেটা করতে পারেন। শুনতে সমস্যা নেই।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ