10.4 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

ইকালুইটে সুপেয় পানি নিয়ে বিতর্ক

ইকালুইটে সুপেয় পানি নিয়ে বিতর্ক - the Bengali Times
জ্বালানির মাধ্যমে দূষিত হওয়ার দুই মাস ধরে ইকালউটের ৮ হাজার বাসিন্দা ট্যাপের পানি পান করতে পারছেন না

ইকালুইট সিটি ও নুনাভাট স্বাস্থ্য বিভাগের মধ্যে গত বছর একাধিক ইমেইল আদান-প্রদান হয়। তাতেই উঠে এসেছে রাজধানীর জরুরি পানি ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কের বিষয়টি।

জ্বালানির মাধ্যমে দূষিত হওয়ার দুই মাস ধরে ইকালউটের ৮ হাজার বাসিন্দা ট্যাপের পানি পান করতে পারছেন না। পানিতে কিছুটা জ্বালানির উপস্থিতি পাওয়া যায় গত জানুয়ারিতেও। সে সময়ও বাসিন্দাদের পানিতে জ্বালানির গন্ধ পাওয়ার বিষয়টি জানান।

- Advertisement -

পানিতে কোনটা নিরাপদ এবং কোনটা নিরাপদ নয় তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তার উত্তর খুঁজতে প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়ে সিটি কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য বিভাগ। নুনাভাটের তথ্য অধিকার আইনে পাওয়া ইমেইলে তেমনটাই জানা গেছে।

চিঠিতে দেখা গেছে, ১২ অক্টোবর বিকাল ৬টায় পানি পান না করার আদেশ দেওয়ার আগে বিকালে এ নিয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পানি সংক্রান্ত প্রশ্নের একটি তালিকা পরদিন সিটি কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করে।

সিটির প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা অ্যামি এলগারসমা ১৩ অক্টোবর রাতে স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশে লেখেন, ফ্রিকোয়েন্টলি আস্ক কোয়েশ্চন না নেওয়ায় আমরা তোপের মুখে আছি এবং নির্ধারিত বার্তা আমাদের জন্য সহায়ক হবে।

ইকালুইটের কিছু বাসিন্দা সরাসরি পাইপের মাধ্যমে পানি পেয়ে থাকেন। অন্যরা ট্রাকে সিটি কর্তৃপক্ষের বিতরণ করা পানি পান, যা বাড়িতে ট্যাংকে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। এই বিতর্কে একটি প্রশ্ন ছিল এরকম। ট্রাকের পানির ওপর যারা নির্ভরশীল তাদের নদীর পানি দিয়ে ট্যাংক ভরার আগে তা পরিস্কার করার প্রয়োজন আছে কিনা। উত্তরে সিটি কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘না’। যদিও এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর মতো যথেষ্ট প্রমাণ নেই বলে দাবি করে স্বাস্থ্য বিভাগ।

এই অঞ্চলের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাইকেল প্যাটারসন ১৩ অক্টোবর লেখেন, ট্যাংক থেকে পানি বের করে দিলেও সব দূষিত উপাদন অপসারিত হয় না। তাই আমাদের পরামর্শ হলো ট্যাংক থেকে পানি পান অব্যাহত রাখা উচিত হবে না।

একই দিনে এলগারসমা লেখেন, গতকালের বৈঠকে যে বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিল এটা তা নয়। বার্তা থেকে সরে যাওয়ার ফলে বাসিন্দাদের আরও বিভ্রান্তি তৈরি হবে এবং আস্থায় চিড় ধরবে। এটা বদলানোর কোনো পরিকল্পনা আমরা করছি না।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the Local Journalism Initiative.

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles