7.7 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

চামচিকারা এখন পাখি হতে চায়: শামীম ওসমান

চামচিকারা এখন পাখি হতে চায়: শামীম ওসমান - the Bengali Times
ফতুল্লার ধর্মগঞ্জে ইউনাইটেড ক্লাবের এক কর্মীসভা

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, অনেকে আমাদের গালাগালি করছে। গালাগালি দিক, আমার পাপ কমবে তাদের পাপ বাড়বে। কিন্তু আমি বলতে চাই পাখিও আকাশে উড়ে, চামচিকাও আকাশে উড়ে। কিন্তু মানুষ তারে পাখি বলে না, চামচিকাই বলে। অনেক পাখি দেখতে কুচকুচে কালো। বাড়ির সামনে ময়লা ফেললে তারা এসে কা কা করে। সে শব্দটা কিন্তু শুনতে ভাল লাগে না। তবে কাকের মত দেখতে কোকিল পাখিও দেখতে কালো। সে ডাকলে মনের মধ্যে মধু লাগে। আমাদের অন্যতম সৌন্দর্য হল কোকিল, ঘুঘুর ডাক। কাকের ডাকে কোকিলদের জবাব দেয়ার দরকার নেই। কাক যদি কোকিল হতে চায় এবং চামচিকা যদি পাখি হতে চায় আমার কিছু বলার নেই।

রোববার বিকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ধর্মগঞ্জে ইউনাইটেড ক্লাবের এক কর্মীসভায় তিনি এসব বলেন।

- Advertisement -

শামীম ওসমান বলেন, আমি পদ পদবী দিতে পারব না। আমার সঙ্গে থাকলে নিগৃহীত হতে হবে। রাজনীতিতে দুই ধরনের নেতা আছে। একটা হল পদধারী নেতা, আরেকটা হল জননেতা। আমরা হিসাব দেব আমরা কত হাজার কোটি টাকার কাজ করেছি। উন্নয়ন দিয়ে আপনি মানুষের মন জয় করতে পারবেন না। মানুষ উন্নয়নের চেয়ে বেশি চায় শান্তি, তার চেয়ে বেশি চায় সম্মান, মাদকমুক্ত সমাজ। মানুষকে বুঝতে দিতে হবে আমার যতটুকু অধিকার আছে প্রধানমন্ত্রীরও ততটুকু ক্ষমতা আছে। গরিবের পেটে লাথি দিয়েন না।

তিনি বলেন, অনেকে অনেক কথা বলছে আমার জাহাজ আছে। দেন না দুই-চারটা, আমার জন্য ভাল। সাংবাদিকদের ডাকেন আমি আমার সম্পদের ফাইল দিব আপনি আপনারটা দেন। যদি কোনো দুর্নীতি দেখাতে পারেন রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে চলে যাবো। রাজনীতিতে অনেকে আমাকে পছন্দ করেন না। এতে সমস্যা নেই, আমি বলি না আমি পারফেক্ট। আমরা দোষগুণে মানুষ। তবে অন্তত এ বয়সে এসে যদি সত্য না বলতে পারি তাহলে রাজনীতি করা উচিত না। আমি সবটা বলতে পারবো না, কারণ আমি রাজনীতি করি। টেবিলের আলোচনা মাইকে করা যাবে না। তবে যতটুকু বলব সত্য বলা উচিত।

শামীম ওসমান আরও বলেন, আমাদের ৪৫টা ওয়ার্ড আছে, আমরা ফরম্যাট বানিয়েছি। সেখানে সব তথ্য থাকবে। এগুলো দিয়ে মিনিমাম ৫০১ সদস্যের কমিটি করবেন। এখানে কোনো নেতা থাকতে পারবে না। আর পরিবারের কেউ অন্য কোনো দল করে কি না তাও উল্লেখিত থাকতে হবে। আমাদের কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে মারতে পারেনি। কে করল কাজটা, বাঙালিরা। নারায়ণগঞ্জে দাঁড়িয়ে একদল লোক বলে আরেকটা ১৫ আগস্ট হবে এটা হবে ওটা হবে। এটা কোনো ব্যাপার না। তারা বলতেই পারে। তবে যখন দেখি সেখানে আমাদের পাশে থাকা লোকেরাও আছে তখন সন্দেহ হয়। ওরা চায় নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঘাটিকে দুর্বল করতে। এখানে জঙ্গিবাদও আছে, তারা হিট এন্ড রান করতে চায়। তারা আমাদের দুর্বল করে ঢাকাকে আঘাত করর চেষ্টা করবে। পচাত্তরের ১৫ আগস্ট তো কোনো দল ছিল না। সেদিন কি করেছি আমরা, নাসিম ওসমানের মতো কিছু লোক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে অস্ত্র হাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, আসাদুজ্জামান চেয়ারম্যান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles