12 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

বচ্চন পরিবারের গোপন তথ্য ফাঁস

বচ্চন পরিবারের গোপন তথ্য ফাঁস - the Bengali Times

পরিবারে কন্যার চেয়ে পুত্রসন্তান বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন—এ অভিযোগ বহু পুরোনো। কিন্তু কয়েক দিন আগে এমন অভিযোগ করেন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের নাতনি নব্য নাভেলী নন্দা। কারণ তার পরিবারেও এই বৈষম্য রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

- Advertisement -

অমিতাভ-কন্যা শ্বেতা বচ্চন এবং তার স্বামী নিখিল নন্দার সন্তান নব্য। তার একটি ছোট ভাইও রয়েছে। নাম তার অগস্ত্য। পরিবারের গোপন তথ্য সংবাদমাধ্যমে বলার কারণে মা ও তার ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। আর বিষয়টি একটি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন শ্বেতা বচ্চন নিজেই।

বাড়ির বর্তমান অবস্থা সাংবাদিক বরখা দত্তর কাছে ব্যাখ্যা করেছেন শ্বেতা বচ্চন। তার ভাষায়—‘বিষয়টি নিয়ে নব্যর সঙ্গে আমার ও অগস্ত্যর অনেক ঝগড়া হয়েছে। আমরা বলেছি, আমাদের সম্পর্কে এই কথাটা সংবাদমাধ্যমে তুমি কীভাবে বলতে পারলে? আমাদের বাড়ি এভাবে চলে না।’

অবশ্য শ্বেতা বচ্চন স্বীকার করেছেন যে, তুলনামূলকভাবে অগস্ত্যর চেয়ে নব্যর প্রতি একটু বেশি কঠিন তিনি। এ বিষয়ে নব্য বলেন—‘আমি মায়ের এই কথার সঙ্গে শতভাগ একমত।’

দ্য পিপলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নব্য বলেছিলেন—‘বৈষম্য খানিকটা আমাদের বাড়িতেও রয়েছে। ধরুন, যখনই দেখি বাড়িতে কোনো অতিথি আসছেন আমার মা সবসময় আমাকেই এগিয়ে দেন তাদের স্বাগত জানানোর জন্য। কিংবা ধরুন, তাদের আপ্যায়নে যেন কোনো ত্রুটি না থাকে তা দেখভাল করার জন্য। অদ্ভুত লাগে এই ভেবে যে, আমার ভাইও তো রয়েছে, তাকে তো বলা হয় না; সেও তো আমারই মতো এই ব্যাপারগুলো সামলাতে পারে।’

নব্যর দাবি—এমন ঘটনা একান্নবর্তী পরিবারে বেশি ঘটে। তা জানিয়ে নব্য বলেন, ‘বিশেষ করে একান্নবর্তী পরিবারে এই ব্যাপারটাই হয়ে থাকে। অতিথিদের আদর-আপ্যায়ন কিংবা দেখভালের বিষয়টি সবসময় মেয়েদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। সেই বাড়িতে পুরুষ থাকলেও, তাদের উপর কখনই এই নির্দেশ দেওয়া হয় না। আমার মনে হয়, এই ব্যাপারগুলোর মাধ্যমে একজন মেয়ের মনে এই ধারণা বদ্ধমূল করে দেওয়া হয় যে, বাড়ি সামলানোর দায়িত্ব স্রেফ মেয়েদেরই!’

অমিতাভ বচ্চনের নাতনির এমন অকপট ভাষ্য ভাইরাল হয় নেটমাধ্যমে। নেটিজেনরাও তার ভাবনার প্রশংসা করেন। এ তালিকায় রয়েছেন—প্রখ্যাত পরিচালক জোয়া আখতারও।

উল্লেখ্য, ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড হলেও বলিউড নিয়ে নব্যর কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ফোরডাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিজিটাল টেকনোলজি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে ‘আরা’ নামে একটি স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন নব্য।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles