13.2 C
Toronto
রবিবার, মে ৫, ২০২৪

কলেজছাত্রী অপহরণ; এসিডের ভয় দেখিয়ে ঘোরানো হয় ৪ জেলা

কলেজছাত্রী অপহরণ; এসিডের ভয় দেখিয়ে ঘোরানো হয় ৪ জেলা - the Bengali Times
অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে

ঝিনাইদহে অপহৃত কলেজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব। অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার ভোরে মানিকগঞ্জ সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আবু জর গিফারী গাফফার, সাব্বির হোসেন ও হাফিজুর রহমান।

তারা একাধিক মামলার আসামি। তাদের কাছ থেকে এক কৌটা এসিডসদৃশ বস্তু, তিনটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, প্রাইভেট শেষে গত ৫ মার্চ বিকেলে এক সহপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে কলেজ শিক্ষার্থী রিকশায় বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় গাফফার ও তার সহযোগীরা ঝিনাইদহ থানার শৈলকুপার একটি রাস্তা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করে নিয়ে যান।

- Advertisement -

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ঘটনার প্রতিবাদে ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গত রবিবার বিক্ষোভ মিছিল করে।

গ্রেপ্তার গাফফারের বরাতে র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, ঘটনার দুই দিন আগে ঝিনাইদহ কোর্ট সংলগ্ন এলাকায় অপহরণের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করা হয়। আর পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক গাফফার ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে অপহরণ করার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য প্রথমে রাজবাড়ীতে এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে দুই সহযোগীকে পরিবর্তন করে নতুন দুই সহযোগীসহ ঢাকায় আসেন অপহরণকারী। এরপর মাইক্রোবাসে করে ওই শিক্ষার্থীকে সিলেটে নিয়ে যান গাফফার। সেখান থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা করেন।

র‍্যাব কর্মকর্তা আরো বলেন, অপহরণের পর গ্রেপ্তার গাফফার অপহৃত শিক্ষার্থীকে এসিড ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি দেখাতেন, যাতে তিনি কোনো প্রকার চিৎকার না করেন।

প্রাথমিক তদন্তে র‌্যাব জানতে পেরেছে, ২০১৯ সাল থেকে গাফফার মেয়েটিকে ইভ টিজিং ও ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করতেন। মেয়েটি তার যন্ত্রণায় প্রাইভেট ও স্কুলে যেতে পারতেন না। একসময় মেয়েটি একা বের হওয়া বন্ধ করে দেন। তিনি তার বাবা ও বান্ধবীদের সঙ্গে স্কুল-প্রাইভেটে যেতেন। ভুক্তভোগী মেয়ের পরিবারকে বিয়ের জন্য বিভিন্নভাবে চাপ ও হুমকি দিতেন গাফফার। মেয়ের পরিবার বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে গাফফার অপহরণ করে বিয়ে করার হুমকি দেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘ তদন্তের পর মানিকগঞ্জ থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা আগে থেকেই নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles