9.4 C
Toronto
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

স্বর্ণালী তো আমারই ছোট বোন, আমি বিষয়টি মেনে নিয়েছি

স্বর্ণালী তো আমারই ছোট বোন, আমি বিষয়টি মেনে নিয়েছি - the Bengali Times

বিয়ে করেছিলেন পাঁচ বছর আগে। সেই সংসারে আছে দুই সন্তান। ভালোভাবেই কেটে যাচ্ছিল সংসারজীবন। হঠাৎ ঘরে থাকা শ্যালিকাকে পছন্দ হয় ভগ্নিপতির। সব শেষে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই শ্যালিকা বিয়ে করলেন তিনি।

- Advertisement -

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া এলাকার মৃত মাস্টার কেদারনাথ গাইনের ছেলে সুজিত পেশায় একজন ডেকরেটরের ব্যবসায়ী। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অন্যত্র গিয়ে শ্যালিকাকে বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন স্বর্ণালীর বাবা কালিপদ সিকদার।

সুজিতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নাজিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া এলাকার মৃত মাস্টার কেদারনাথ গাইনের ছেলে সুজিত গাইন পাঁচ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন একই উপজেলার ঘোপেরখাল গ্রামের কালিপদ সিকদারের মেয়ে রূপালি গাইনকে। তাদের ঘরে একটি মেয়ে ও একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। সুজিতের বাড়িতেই থেকে পড়াশোনা করতেন রূপালির ছোট বোন স্বর্ণালী। এ সুবাদে সুজিত-স্বর্ণালীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।

বিষয়টি রূপালি জানতে পেরে ছোট বোন স্বর্ণালীকে বাবার বাড়িতে দিয়ে আসেন। স্বর্ণালী বাড়িতে পৌঁছানোর পর স্বর্ণালী উধাও হয়ে যান। তাকে খুঁজে না পেয়ে বাবা কালিপদ সিকদার মেয়েজামাই সুজিত গাইনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে রূপালি গাইনের ভাই জয়দেব সিকদার জানান, শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জামাইবাবু আমার বড় দিদির সঙ্গে বিয়ে থাকা সত্ত্বেও আমার ছোট বোনকে বিয়ে করেছে। তাদের দুই সন্তানও আছে। রূপালী দিদি স্বর্ণালীকে পড়াশোনার স্বার্থে রেখেছিল। সে কারণেই তারা এমনটা করেছে। তবে রূপালী দিদি বিষয়টি মেনে নিয়ে ছোট বোনের সঙ্গে একত্রে সংসার করতে রাজি হয়েছেন।

তবে সুজিত গাইনের প্রথম স্ত্রী রূপালী গাইন জানিয়েছেন, স্বর্ণালী তো আমারই ছোট বোন। আমি বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছি। যেহেতু তারা বিয়ে করে নিয়েছে, সে ক্ষেত্রে এখন আমরা দুই বোন একসঙ্গেই সংসার করব।

সুজিত গাইনের কাকা গজেন গাইন জানান, একটা বিষয় হয়ে গেছে। এখন করার মতো কিছু নাই। তবে আমরা জেনেছি তারা বিয়ে করেছে। তাদের সাথে আমরা পারিবারিকভাবে কথাও বলেছি। কয়েক দিন পরে দিনক্ষণ দেখে তাদের চার হাত আমরা পারিবারিকভাবেই আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে এক করে দিব।

সুজিত গাইন জানান, হঠাৎ করেই ভালো লাগা থেকেই এই বিয়ে করেছি। তবে আমার প্রথম স্ত্রী মেনে নিয়েছে বিষয়টি। এখন আমি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে একসঙ্গে ঘর করব।

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, স্বর্ণালীর বাবা প্রথমে তাকে খুঁজে না পেয়ে নাজিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। পরে এই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সুজিত ও স্বর্ণালীকে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি। পরে তিনি অভিযোগ তুলে নিয়েছেন। তাদের কোনো অভিযোগ না থাকায় আর মামলা করা হয়নি।

সূত্র : ঢাকাপোস্ট

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles