7.7 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

করোনা, বিশ্ব ও অন্টারিও

করোনা, বিশ্ব ও অন্টারিও
প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড

কানাডার অন্টারিও প্রদেশের প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড এখানকার স্কুল গুলো খুলে দেবার বিষয়ে প্রদেশের স্বাস্হ্য বিশেষজ্ঞ ও স্টেইক হোল্ডারদের কাছে মতামত চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন।

চিঠির জবাবে মেডিকেল এক্সপার্টস, মেডিক্যাল এসোসিয়েশন এবং হাসপাতালগুলোর সমন্বয়ে গঠিত অন্টারিও কোভিড-১৯ সাইন্স এ্যাডভাইজরি টেবিল (Ontario’s COVID-19 Science Advisory Table) বলেছে, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো সেই সেক্টর যা সবার শেষে বন্ধ করা উচিত আর সবার আগে খুলে দেয়া উচিত। (Schools should be the last sector to close and the first sector to reopen).

- Advertisement -

তারা আরো বলেছে সরকার পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে যে অগ্রগতি সাধন করেছে তা যাতে ব্যহত না হয় আবার দেশের শিক্ষা ব্যবস্হা চরম ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, সে কারণে স্কুল গুলো ধীরে ধীরে অন্চল বা এলাকা ভিত্তিক (Regional basis) খুলে দেয়া যেতে পারে।

অর্থাৎ যেসব এলাকায় সংক্রমণ কম এবং ভ্যাকসিন দেয়া সম্পন্ন হয়েছে সেগুলো আগে খুলে দেয়া যায়। কথা হলো দেশের ছাত্র ছাত্রী এবং তাদের লেখাপড়াকে যদি আমরা অগ্রাধিকার গণ্য করি তাহলেই একমাত্র এসব সম্ভব।

যদি আমরা বিশ্বাস করি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো সেই রকম গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টর যা দেশের যে কোন সংকটে সবার শেষে বন্ধ করতে হবে এবং সংকট কেটে গেলে প্রথম সুযোগেই আবার খুলে দিতে হবে, তা না হলে দেশের অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে যাবে, তাহলে আমরা সবার আগে এবং প্রথম সুযোগে আনা ভ্যাকসিনগুলো দেশের ছাত্র ছাত্রীদেরকে দিতাম এবং সেভাবেই আমরা ব্যবস্হা নিতাম। তা কি আদতেই আমরা মনে করি? হোক সেটা কানাডা কিংবা বাংলাদেশ!

কানাডায় ৪৫ হাজার এস্ট্রাজেনিকা ভ্যাকসিন আগামী সোমবার ৩১মে মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার কথা। এখন এগুলোর এক্সপায়ারী ডেইটকে ১লা জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। হেলথ কানাডার নামে এগুলো করা হলেও প্রশ্ন উঠেছে সময়মত এগুলো বিতরণ করা গেল না কেন?

হু বা ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন বলেছে পৃথিবীর ৭০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন না দেয়া গেলে কোভিড মহামারীকে পৃথিবী থেকে বিদায় দেয়া যাবে না। সেদিক থেকে চিন্তা করলে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর শত শত দেশের কোটি কোটি নাগরিকের সিংহভাগ মানুষকে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হয় নি। আর অন্যদিকে কানাডায় ৪৫ হাজার ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়! কি অবাক বিশ্ব! কখনো ভ্যাকসিন সল্পতার কারণে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দুটো ডোজ নেবার নিয়ম পরিবর্তন করে ৪ মাস করা হয় আবার কখনো মেয়াদোত্তীর্ণ ভ্যাকসিনের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়ে বলা হয় এতে কোন সমস্যা নেই!

আসলে সংকটেই নেতৃত্বের যোগ্যতা প্রমাণ হয়। তবে কানাডায় কখন কি হচ্ছে সবই জনগনকে জানানো হয়, জানিয়ে করা হয়। কিছু কিছু দেশে অফিসিয়াল সিক্রেট এ্যাক্টের দোহাই দিয়ে দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করা হয়।

আজ একজন ফেসবুক বন্ধু একটি ভিডিও পাঠালেন। বাংলাদেশের চ্যানেল ২৪ এর প্রতিবেদন। তথাকথিত বেগম পাড়া সংশ্লিষ্ট লুটেরা কাহিনী। সকলেই এখন নুতন করে কানাডা ও তার ভুয়া বেগমপাড়া নিয়ে মেকী সোচ্চার হবেন। কিন্তু কেউই সেই এমপির পাঠানো টাকার মুল উৎস ও দায়ীদের বিরুদ্ধে টু শব্দটি করবেন না! শব্দ করেও কোন লাভ হবে না। যারা শব্দ করবেন তাঁদের বেশীরভাগই দুর্নীতিবাজদের উৎসের সমর্থক শুধু নন, ঘোরতর সমর্থক।

তবে সবই করা হয় জনগনের দোহাই দিয়ে, জনগনের নামে! বিচিত্র এই পৃথিবী আর বিচিত্র পৃথিবীর মানুষ!

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles