8.2 C
Toronto
মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪

ডাক্তার পরিচয়ে চাকরিজীবীসহ ১৪ নারীকে বিয়ে, অবশেষে পুলিশের জালে

ডাক্তার পরিচয়ে চাকরিজীবীসহ ১৪ নারীকে বিয়ে, অবশেষে পুলিশের জালে - the Bengali Times
পুলিশের জালে ধরা পড়লেন ৬০ বছর বয়সী বিয়ে পাগল

আইনজীবী থেকে শুরু করে চিকিৎসক, নার্স, সেনাবাহিনীতে কর্মরত নারী, এমনকি বেশ কয়েক জন উচ্চশিক্ষিত নারীকেও বিয়ে করেছেন। ভারতের দিল্লি, পাঞ্জাব, আসাম, ঝাড়খণ্ড এবং উড়িষ্যাসহ সাত রাজ্যে ১৪ জনকে বিয়ে করে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন ৬০ বছর বয়সী বিয়ে পাগল। গতকাল সোমবার তাকে ভুবনেশ্বর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি উড়িষ্যার কেন্দ্রাপড়ার পাতকুড়া থানার বাসিন্দা।

- Advertisement -

বিবাহ-সম্পর্কিত ওয়েরবসাইটগুলোতে নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে নারীদের সঙ্গে আলাপ শুরু করতেন।
তিনি শিকার হিসেবে বেছে নিতেন মাঝবয়সি অবিবাহিত নারী ও ডিভোর্সিদের। এভাবে একে একে তার ফাঁদে পড়েছেন চিকিৎসক, আধাসেনায় কর্মরত নারী, আইনজীবী এমনকি উচ্চশিক্ষিত নারীরাও।

অভিযুক্ত প্রথম বিয়ে করেন ১৯৮২ সালে। দ্বিতীয় বিয়ে করেন ২০০২ সালে। ভুবনেশ্বরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ঊমাশঙ্কর দাশ জানান, প্রথম এবং দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর মোট পাঁচ সন্তান। ২০০২ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিবাহ-সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে গিয়ে নারীদের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করার পর বিয়ে করতেন। ঘটনাচক্রে, যত জনকে তিনি বিয়ে করছেন, কেউই তার আগের বিয়ের ব্যাপারে কিছুই টের পাননি।

ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আরো জানান, কেবল বিয়ে করাই অভিযুক্তের মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল না। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল চাকরিজীবী নারীদের বিয়ে করে তাঁদের টাকাপয়সা আত্মসাৎ করা। প্রতিবারই তিনি বিয়ের পর স্ত্রীদের টাকা হাতিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছেন।

কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের জুলাইয়ে একজন শিক্ষিকা ভুবনেশ্বরে অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, এক ব্যক্তি তাঁকে ২০১৮ সালে দিল্লিতে বিয়ে করে ভুবনেশ্বরে নিয়ে আসেন। ওই ব্যক্তি বেশ কয়েক বার বিয়ে করেছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন ওই নারী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। সোমবার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ভুবনেশ্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ বলেছে, অভিযুক্তের কাছ থেকে ১১টি এটিএম কার্ড, চারটি আধার কার্ড এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে।

ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, নারীদের ফাঁসিয়ে বিয়ে করে টাকা হাতানো ছাড়াও আরো প্রতারণার কাজে জড়িত ছিলেন অভিযুক্ত। এর আগে যুবকদের চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েও প্রতারণা করার অভিযোগে হায়দরাবাদে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।
সূত্র: আনন্দবাজার।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles