4 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

বিদেশে তারা কি করেন

বিদেশে তারা কি করেন
আমেরিকার নিউ ইয়র্ককে পুরা গুলিস্তান বানিয়ে ফেলেছে

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ কেন বাংলাদেশি পাসপোর্টের পাত্তা দেয় না !!!

ছোটবেলায় শুনেছি, ঢেকি স্বর্গে গেলেও নাকি ধান বানে। এটির বেখ্যা পড়েছি এবং শুনেছি তবে বাস্তবে দেখা হয় নাই, কিন্তু এই প্রবাসে এসে তার অনেক প্রমান পেয়েছি। কালে কালে প্রবাসে বাংলাদেশের অনেক ঢেকি ঢুকে পড়েছে, এবং এই সমস্ত ঢেকীরা তাদের দেহের সাথে সাথে দেশের ধান বানার, অর্থ্যাৎ কামরা-কামড়ি, চুরি-চামারি, বাটপারি, দুই নাম্বারি ইত্যাদি সমৃদ্ধ মনমানসিকতা নিয়ে এসেছেন, এবং এই প্রবাসে যুগ যুগ থেকেও এর কোনো পরিবর্তন করতে পারেন নাই। তাইতো অহরহ ধান বেনেই চলেছেন। আর তাদের এই সমস্ত কর্মকান্ড দেখে এই সব দেশের মানুষদের মধ্যে আমাদের দেশ সমন্ধে খুব একটা ভালো ধারণা জন্মায় না, সে জন্যেই এই সব দেশের অনেকেই আমাদের দেশের নাম শুনলে বা পাসপোর্টটি দেখলে একটু ভ্রু কুচকায়।

- Advertisement -

আমি ইউরোপ ছাত্রঅবস্থায় অনেক দেশে ঘুরতে গিয়ে এই জাতীয় ভ্রু কুচঁকানোর অনেক অভিজ্ঞতা পেয়েছি। একমাত্র আল্লাহ্তালাই জানেন এই সমস্ত ঢেকীদের কোনোদিন সুবুদ্ধির উদয় হবে কি না ! একটি প্রশ্ন আমার প্রায়ই মনে হয়। এই প্রবাসে বসে দেশের তথাকথিত রাজনীতি করে, চিল্লা-চেল্লি বা কামরা-কামড়ি করে এরা কি হাসিল করতে চায়। এদের কাজই বা কি, এরা করে কি, এতো সময় এরা পায় কোথায় !!! আমি বেক্তিগতভাবে অন্তত শতাধিক ব্যক্তিকে জানি (কানাডাতে), এদের মধ্যে ভালো প্রফেশনাল, চাকরিজীবী থেকে শুরু করে ব্যাবসায়ী, শিক্ষক, গবেষক ইত্যাদি আছেন, কিন্তু এদের কাউকেই আমি বিগত ১৭/১৮ বছরে কখনো ওই রকম ধান বানাতে, অর্থ্যাৎ মিছিল মিটিং বা কামড়াকামড়ি করতে দেখি নাই, কিন্তু ওই জাতীয় ঢেকীদের প্রায়ই দেখা যায়।

ওই সমস্ত ঢেকীদের এতো সময় কোথা থেকে আসে। এখানে বিলিওনার থেকে শুরু করে চায়ের দোকানে বা ফ্যাক্টরিতে চাকরি করা লোকেরও ওই সমস্ত ঢেকীদের মতো ফালতু কাজে সময় নষ্ট করার সময় নেই।

ওই যে দেশ থেকে গলাবাজি করে এসেছেন তার আর ক্ষান্ত নেই। নিচের ক্লিপটির মধ্যে দেখবেন এই ঢেকীদের চিল্লাচিল্লি আসে পাশের গাড়ির হর্নকেও হার মানিয়েছে। আপনাকে যদি কোনোকিছু না বলে শুধু নিচের ক্লিপটি দেখানো হয় তাহলে জায়গাটি গুলিস্তান না নিউ ইয়র্ক সেটা বোঝা কষ্ট হবে। ঢেকির দল আমেরিকার নিউ ইয়র্ককে পুরা গুলিস্তান বানিয়ে ফেলেছে।

আর আমাদের দেশের তথাকথিত নেতা-নেত্রীরা আবার এগুলি দেখে পুলকিত হন এবং উৎসাহিত করেন, কিন্তু এতে যে দেশের ভাবমূর্তির ১২টা বেজে যাচ্ছে তা দেখেন না।

এই জাতীয় ঢেকি কারবার হয়তো আরো কিছু দেশের লোক করে থাকে, কিন্তু আমি তাদের কথা বলি নাই কারণ সেগুলি আমার জন্ম দেশ নয়।

আল্লাহ এই সমস্ত ঢেকীদের সুমতি দিন। আমিন !

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles