0.1 C
Toronto
মঙ্গলবার, মার্চ ১৮, ২০২৫

কানাডার বিকল্প কী হতে পারে!

কানাডার বিকল্প কী হতে পারে!
কানাডার বিকল্প কী হতে পারে

আমি চিনি একজন মেয়েকে যে কানাডায় ছিল দীর্ঘদিন। সে এসেছিল স্টুডেন্ট ভিসায় এক বছরের প্রোগ্রামে পড়তে। ভুলটা এখানেই হয়েছিল তার শুরুতেই। এজেন্সি তাকে পাঠিয়েছিল এক বছরের প্রোগ্রামে। সে তখন এতকিছু জানত না। তো সে সময় সে কানাডায় চলে এজেন্সির সহযোগিতায়। এক বছর পড়া শেষ হলে সে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করে।

এখানে একটা বিষয় আছে। এক বছরের প্রোগ্রামে ডিপ্লোমাদের জন্য এক বছরের ওয়ার্ক পারমিট হয়। তবে রিসেন্টলি মাস্টার্স ডিগ্রিদের জন্য এক বছরের পড়ায় তিন বছরের ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যাচ্ছে। আগে ছিল না এ নিয়ম।

- Advertisement -

যাই হোক আমার ঐ পরিচিত মেয়ে এক বছর ওয়ার্ক পারমিট শেষ হওয়ার পর পড়ে মহা বিপাকে। তার ওয়ার্ক পারমিট আর বর্ধিত করার সুযোগ হয় নি। এক বছর ওয়ার্ক পারমট শেষ হওয়ার পর সে PR এর জন্য আবেদনও করেছিল। কিন্তু Comprehensive Ranking System (CRS) মিট হওয়ার জন্য অনেককিছু লাগে। ওয়ার্ক experience লাগে। সেদিকে সে ধরা খেয়েছিল।  এরপর সে ভিজিট ভিসায় থাকে আর বিভিন্নভাবে লইয়ার ধরে চেষ্টা চালাতে থাকে কোনো রকমে PR পাওয়া যায় কিনা সেজন্য।

টানা দশ বছরের মতো কানাডায় তার থাকার মেয়াদ গিয়ে ঠেকেছিল। কতো চেষ্টাই না সে করেছিল ড্রিম ল্যান্ডে স্থায়ী ভাবে থেকে যাওয়ার। কিন্তু কপালে লেখা না থাকলে হবে না। তাই তার সকল চেষ্টা বৃথা হয়ে যায় নিয়তির লেখনীর কাছে।

এ বছরের জুনের দিকে সে কানাডা ছাড়তে বাধ্য হয়। দেশে পাড়ি জামাতে হয়েছিল বুকভরা আশা বিফলে দিয়ে।

কিন্তু একটা কথা আছে। জীবনের এক একটা গল্প যেখানেই থেমে যাক, নতুন করে ভাবতে হবে অন্য কিছু। মোড় ঘুরিয়ে দেখতে হবে সে রাস্তাটা কতোটা মসৃণ হতে পারে।

সে যখন কানাডা ত্যাগে বাধ্য হয়েছিল তখন সে মনে মনে জীবনকে অন্যভাবে সাজানোর কল্পনা করেছিল। শুধু কল্পনা করে বসে থাকলে কল্পনার জট খোলে না। সঙ্গে থাকতে হয় চেষ্টাও।

তাই সে দেশে ফিরে গিয়ে ইউকে’তে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদনের চেষ্টা করে। বিভিন্নভাবে ও মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যায়। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রেডি করে। বেশ দ্রুতই সে একটা একটা সুযোগ পেয়ে যায় ইউকে’তে।

তার বোনের সঙ্গে আজ দেখা। ভীষণ সুখীতে তার বোনের মুখ হাস্যোজ্জ্বল হয়ে ওঠে। আমাকে সে নিজেই জানাল যে, তার বোন ইউকে’তে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়েছে। আজ ইউকেগামী বিমানে উঠৈ ব্যাকহোমকে আবারো বিদায় জানিয়ে উড়াল দিয়েছে সেই মেয়ে।

ইউকে’তে স্থায়ী বসবাসের এক গাঢ় ইচ্ছে পোষণ করছে সে মনে-প্রাণে। সেখানে তার ভালোবাসার প্রেমিক পুরুষ থাকছে কয়েক বছর আগে থেকেই। তাই এ যাত্রা গিয়ে মিশে যাচ্ছে এক গভীর প্রেমের জলধারার উষ্ণতায়। নতুন আঙ্গিকে জীবন সাজানোর মহা পরিকল্পনায়।

সেজন্য কানাডা যদি না হয় স্বপ্নের গন্তব্য, আশা ভঙ্গের নেই যে কোনো কারণ। অন্য কোথাও হতে পারে স্বপ্ন পূরণ।

আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।

 

টরন্টো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles