10.1 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

কানাডায় ভ্যাকসিনেটেড

কানাডায় ভ্যাকসিনেটেড
ভ্যাকসিনেটেড সেন্টারে অন্টারিও প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড

এই কানাডাতে যেমন জনসংখ্যার কত পরিমান ভ্যাক্সিনেডট হলো তার পরিসংখ্যান প্রতিনিয়ত দেওয়া হয় বাংলাদেশের মিডিয়া গুলিতে তেমন কোন পরিসংখ্যান দিতে দেখি না।

টিভি চ্যানেল, ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলিতে প্রতিদিন করোনা নিয়ে প্রচুর টেবিল টক,টক সো ইত্যাদি হয় কিন্তু দেশের জনসংখ্যার কত পরিমান ভ্যাক্সিন নিয়েছে তার কোন পরিসংখ্যান এই টেবিল টক, টক সো গুলিতে খুব একটা বলতে শুনি না।

- Advertisement -

জনসংখ্যার কত পরিমান প্রথম ডোজ নিয়েছে, দুই ডোজ কত জন নিয়েছে তার কোন সেক্টরওয়াইজ, ডিস্ট্রিকওয়াইজ পরিসংখ্যান দৈনিক প্রচার করতে দেখি না।

কানাডাতে আমরা যেমন চট করে বলে দিতে পারি পুরো কানাডাতে জনসংখ্যার কত পরিমান প্রথম ডোজ নিয়েছে, কত পরিমান দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে, এই টরন্টোতে প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ কত শতাংশ নিয়েছে তেমন ভাবে আমরা কি বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও বলে দিতে পারি?

আমি মনে করি বাংলাদেশের এখন প্রধান সমস্যা অধিকাংশ জনসংখ্যাকে ভ্যাক্সিন দিতে না পারা। যেখানে জনসংখ্যার ৭৫% পুরো ভ্যাক্সিনেটেড হলে হার্ড ইমিউন সম্ভব সেখানে বাংলাদেশে জনসংখ্যার অতি নগন্য সংখ্যক ভ্যাক্সিনের আওতায় এসেছে। হার্ড ইমিউনিটি থেকে বাংলাদেশ যোজন যোজন দূরে অবস্থান করছে।

বাংলাদেশে এই পর্যন্ত ১০.১ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে, পুরোপুরি ভ্যাক্সিনেটেড হয়েছে ৪.২৮ মিলিয়ন। শতাংশের হিসাবে জনসংখ্যার ২.৬% শতাংশ পুরোপুরি ভ্যাক্সিনেড।

এই পরিসংখ্যান আমি পেয়েছি গুগল ঘেটে। মিডিয়াতে এই পরিসংখ্যানের প্রচারণা তেমন নেই।

বলা বাহুল্য, বাংলাদেশে ভ্যাক্সিনের এই অগ্রগতি খুবই নগন্য।

এর প্রধান কারন, ভ্যাক্সিনের অপর্যপ্ততা। বাংলাদেশ সরকার পর্যপ্ত পরিমান ভ্যাক্সিন আনতে ব্যর্থ হয়েছে। ভ্যাক্সিন আনার পরিকল্পনায় বড় ধরনের ত্রুটি ছিল।

ভ্যাক্সিন সঠিক সময়ে না আসার কারনে এই গ্যাপের মধ্যে ডেল্টা বা ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশকে পুরোপুরি কব্জা করে ফেলেছে। প্রতিদিন সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে।

লকডাউন দিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এই ঈদের মধ্যে লকডাউন শিথিল করার এক আত্নঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানি না এমন সিদ্ধান্ত কার মস্তিষ্কপ্রসূত। তার ‘মস্তিষ্ক’ জিনিসটি আছে কিনা সেটিও একটি মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন বটে।

বাংলাদেশকে বাচানোর একমাত্র উপায়, রিপিট, একমাত্র উপায়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে অধিকাংশ জনসংখ্যাকে ভ্যাক্সিনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্তত জনসংখ্যার ৫০% থেকে ৬০% পুরোপুরি ভ্যাক্সিনেটেড করার মহা পরিকল্পনা নিতে হবে।

সেটি সরকার কিভাবে বাস্তবায়ন করবেন তা তাদেরকেই বের করতে হবে।

টরন্টো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles