0.9 C
Toronto
মঙ্গলবার, মার্চ ২৫, ২০২৫

মামলা থেকে বাঁচতে নবজাতক রেখে চলে আসি: সানজিদা

মামলা থেকে বাঁচতে নবজাতক রেখে চলে আসি: সানজিদা - the Bengali Times
দুমকি প্রেস ক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়

দুমকিতে ‘সন্তান ভূমিষ্ঠের ৫ ঘণ্টা পরই নবজাতককে হাসপাতালে রেখে মায়ের পলায়ন’ শীর্ষক সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সানজিদা আক্তার পপি নামে এক গৃহবধূ।

শনিবার সকালে দুমকি প্রেস ক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোজাম্মেল হাওলাদারের মেয়ে গৃহবধূ সানজিদা আক্তার পপি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, হাসপাতাল থেকে সন্তান রেখে আমি পালিয়ে আসিনি বরং কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে মার্ডার কেস থেকে রেহাই পেতে আমার ননদের কাছে নবজাতককে বুঝিয়ে দিয়ে আমি বাড়ি চলে আসি। যদি ওই অসুস্থ সন্তান আমার কাছে রাখি এবং পরবর্তীতে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে আমার স্বামী আমার পরিবারসহ সবাইকে সন্তান হত্যা মামলা দেবে। তাই আমি বাধ্য হয়ে সন্তান রেখে চলে আসি।

- Advertisement -

পপি আক্তার আরও বলেন, পারিবারিকভাবে দুবছর আগে একই উপজেলার দুমকি সাতানী গ্রামের আ. রব হাওলাদারের ছেলে আল আমীনের (৩০) সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই স্বামী আল আমীন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সোহেলের বোনের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ায়। এ নিয়ে শুরু থেকেই আমাদের মধ্যে তীব্র দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে প্রতিনিয়ত আমার ওপর আল আমীন শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। এনিয়ে বেশ কয়েকবার থানা পুলিশসহ সালিশ বৈঠকও হয়েছে। তাতে আমার ওপর নির্যাতন কমেনি। আমার গর্ভে সন্তান আসলে স্বামী টের পেয়ে একাধিকবার নষ্ট করার চেষ্টা করে। তাই আমি বাপের বাড়ি চলে আসি। যখন আমি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন আল আমীন নেওয়ার কথা বলে দুমকি বাজারে আমার পেটে একাধিকবার লাথি কিল-ঘুসি মারে- যাতে আমার সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আমার বাবা-মা আমাকে দুমকি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার পটুয়াখালী রেফার করেন। সেখানে নরমাল ডেলিভারিতে আমার কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। পরবর্তীতে হাসপাতাল থেকে আমাকে ছাড়পত্র দিলে আমি অসুস্থ বাচ্চা আমার ননদের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে আসি।

অভিযোগের বিষয়ে আল আমীন বলেন, সব মিথ্যা। উলটো সানজিদা ও তার পরিবার আমার সন্তান নষ্ট করতে চেয়েছে। না পেরে রাগে ক্ষোভে ৫ ঘণ্টার মাথায় হাসপাতালে সন্তান রেখে পালিয়ে যায় সানজিদা। আমার বন্ধু সোহেলের বোনের সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি একদম ভিত্তিহীন। আমার সম্মানহানি করার উদ্দেশ্যে এগুলো বলে বেড়াচ্ছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles