
নগরীতে ‘রেইন ট্যাক্স’ (স্টর্ম ওয়াটার ফি) চালুর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন টরন্টোর মেয়র অলিভিয়া চাউ। গত সপ্তাহে স্টর্মওয়াটার মাশুল নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ার পর এ নিয়ে আলোচনার পর ৩ এপ্রিল এই মন্তব্য করলেন তিনি। বৃষ্টির পানির ওপর বাড়ির মালিকদের কর পরিশোধ হতে পারে বলে এই উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে চাউ বলেন, টুইটার বা এক্স-এ তারা যাই বলুক না কেন সিটি কর্তৃপক্ষ বৃষ্টির ওপর কোনো কর বসানোর পরিকল্পনা করছে না। এটা থাকলে আজ আমরা বিপুল রাজস্ব আয় করতে পারতাম।
সাম্প্রতিক বর্ষার মধ্যে রেইনকোট পরিহিত অবস্থায় নিজের একটি ভিডিও-ও পোস্ট করেন মেয়র।
বাড়ির আকার ও পাকা এলাকার ভিত্তিতে সিটি কর্তৃপক্ষ সারচার্জ আরোপ করতে যাচ্ছে বলে হত সপ্তাহে খবর চাউর হয়। প্রস্তাবটি পাস হলে বাড়ির পাকা এলাকার আকারের ওপর ভিত্তি করে বর্তমানে বাড়ির মালিকদের ক্ষেত্রে চালু থাকা বৃষ্টির হারের ওপর থেকে মাশুল প্রত্যাহার হয়ে যেত। এর পরিবর্তে পরিষেবা বিলের সঙ্গে নির্দিষ্ট মাশুল যুক্ত হতো। নতুন এই মাশুল সরাসরি চলে যেত স্টর্মওয়াটার অবকাঠামো তহবিলে।
এর ফলে যেসব বাড়ি যত বেশি বৃষ্টির পানি স্টর্ম সিস্টেমে নির্গত করবে তাদের মাশুলের হার তত বেশি উচ্চ হবে। এটাকেই অনেকে বলছেন, সিটি কর্তৃপক্ষ রেইন ট্যাক্স চালুর চিন্তা-ভাবনা করছে।
এ ব্যাপারে চাউ বলেন, প্রস্তাবটি আরেকবার খতিয়ে দেখতে সিটি কর্মীদের তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। আরও বেশি সবুজ অবকাঠামোর সহায়ক, বন্যা প্রতিরোধ এবং পানির বিল কম হয় এমন পরিকল্পনা নিয়ে টরন্টো ওয়াটারকে সিটি কাউন্সিলে আসতে বলেছি।
যদিও চাউ তার ভিডিও এটা ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন যে, এই প্রস্তাবের পেছনে ছিল বড় পার্কিং লট সম্বলিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে স্টর্ম ব্যবস্থায় নির্গত করা পানির পরিমাণ অনুসারে মাশুল দেয় সেটা নিশ্চিত করা।