12.3 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪

শিক্ষকের বেত্রাঘাত সইতে না পেরে পালাল শিক্ষার্থী, অতঃপর…

শিক্ষকের বেত্রাঘাত সইতে না পেরে পালাল শিক্ষার্থী, অতঃপর...
শিশু জসিম উদ্দীন

শিক্ষকের বেত্রাঘাত সইতে না পেরে গাজীপুরের শ্রীপুরে রেলস্টেশনে আশ্রয় নিয়েছিল মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থী। কান্নারত অবস্থায় থাকা ওই শিশুর সারা শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে সন্ধ্যায় খবর পেয়ে শিক্ষক শিশুটিকে মাদ্রাসায় ফিরিয়ে নেন।

অন্য সহপাঠীদের সঙ্গে দুষ্টুমি করার অপরাধে শিক্ষক মাওলানা আশরাফুল ইসলাম ব্যাপক বেত্রাঘাত করেন শিশু জসিম উদ্দীনকে। আজ সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে পাশের কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের হাড়িয়াদি গ্রামের বায়তুর নূরানী জামে মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে।

- Advertisement -

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল শিশু জসিম উদ্দীন। তাকে কাঁদতে দেখে লোকজন এগিয়ে গিয়ে তার কাছে জানতে চান কান্নার কারণ। পরে শরীর দেখিয়ে শিশুটি বলে তাকে বেত্রাঘাত করা হয়েছে মাদ্রাসাতে। দুষ্টামি করার অপরাধে শিক্ষক বেধম মারধর করেছেন তাকে।

ওই শিক্ষার্থীর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বাহাদুরপুর। সে ওই গ্রামের ওসমান গনির ছেলে। সে সিংহশ্রীর হাড়িয়াদি গ্রামের বায়তুর নূরানী মাদ্রাসা ও এতিমখানায় হেফজ বিভাগে পড়ে।

পিটুনির শিকার শিশু শিক্ষার্থী জসিম উদ্দীন জানায়, অনেক পিটুনির কারণে তার শরীর প্রচন্ড ব্যথা করছিল। সহপাঠীদের সাথে দুষ্টুমি করার অপরাধে তাকে পিটিয়েছেন ওই শিক্ষক। তাই সে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে এসে বাড়িতে যাওয়ার জন্য ট্রেনের অপেক্ষা করছিল।

মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুষ্টামি করার কারণে তাকে মারধর করা হয়েছে। সে আমার ভাতিজা হয়। তবে অতিরিক্ত বেত্রাঘাত করা হয়েছে বলে ভুল স্বীকার করেন তিনি। খবর পেয়ে রাতেই তাকে মাদ্রাসায় ফিরিয়ে নেন ওই শিক্ষক।

শ্রীপুর মডেল থানার ওসি আকবর আলী জানা, শিশু নির্যাতনের এমন খবর জানাতে থানায় কেউ আসেনি। তবে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles