সম্প্রতি অবৈধভাবে ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তির ঘটনায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এবার ফাঁস হয়েছে আরও ৩৬ ছাত্রীর অভিনব ভর্তি জালিয়াতির তথ্য।
জানা যায়, নতুন এই ভর্তি জালিয়াতির তদন্ত করছে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়। এরই মধ্যে তদন্তে ভর্তি জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভর্তি সংশ্লিষ্টদের কাছে গত ২৫ মার্চ একটি চিঠি পাঠান তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
ছয় সদস্যের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায়। ভর্তি কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: প্রতিষ্ঠানটির মূল দিবা শাখার প্রধান শাহ আলম, বসুন্ধরা দিবা শাখার প্রধান জগদীষ চন্দ্র পাল, মূল দিবা শাখার সিনিয়র শিক্ষক চাঁদ সুলতানা, ধানমন্ডি প্রভাতি শাখার প্রধান মাহমুদ আহমদ, ও আজিমপুর প্রভাতি শাখার সিনিয়র শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ।
জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৬ শিক্ষার্থীর ভর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তদন্ত শেষ হোক, তখন জানা যাবে।’
এর আগে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অবৈধভাবে ১৬৯ জন ছাত্রী ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর বরখাস্ত করা হয় মূল ক্যাম্পাসের দিবা শাখা (বাংলা ভার্সন) প্রধান মো. শাহ আলম খানকে। তাকে ঘটনা ফাঁসের জন্য দায়ী করা হয়। পরে ভর্তি কমিটির অনিয়মের বিষয়টি গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে তুলে ধরেন তিনি।
লিখিত অভিযোগে মো. শাহ আলম খান জানান, মূল প্রভাতি বাংলা ভার্সনে ৯ জন, মূল দিবা বাংলা ভার্সনে ২ জন, মূল প্রভাতি ইংরেজি ভার্সনে ২ জন, মূল দিবা ইংরেজি ভার্সনে ৪ জন, ধানমন্ডি দিবা শাখায় ৩ জন, বসুন্ধরা প্রভাতি শাখায় ২ জন, বসুন্ধরা দিবা শাখায় ৩ জনসহ মোট ৩৬ জনকে ভর্তি করা হয়। এসব শিক্ষার্থীর ভর্তিতে জাল সনদ ব্যবহার করা হয়। ভর্তির ফরম বাছাইয়ে নীতিমালার ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের ভর্তি বাতিলযোগ্য।
লিখিত অভিযোগে অনিয়মের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ারও অনুরোধ জানান শাহ আলম।