13.9 C
Toronto
শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪

নারীদের দিয়ে অপহরণ ফাঁদ, মা-মেয়েসহ গ্রেপ্তার ছয়

নারীদের দিয়ে অপহরণ ফাঁদ, মা-মেয়েসহ গ্রেপ্তার ছয়
ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ

অপহরণের পর মুক্তিপণ হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আদায় করতো চক্রটি। অপহরণের ১০ দিন পর একজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ।

শুক্রবার রাতে ডিবির একটি দল রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে অপহৃত ব্যবসায়ী লিটন মিয়াকে উদ্ধার করে এবং চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

- Advertisement -

শনিবার ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, লিটনকে কৌশলে অপহরণ করেছিল একটি চক্র। এসময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও দুই নারীকে। তারা সম্পর্কে মা-মেয়ে। মূলত চক্রটির নারী সদস্যদের দিয়েই ফাঁদ পাতা হয় অপহরণের। ভুক্তভোগী লিটনকেও এক নারী সদস্যকে দিয়ে অপহরণ করা হয়েছিল।

তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ এই চক্রটি পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরের কোনো এলাকায় তাদের ব্যবহৃত ফোন ফেলে দিতো। জুয়েল রানা নামের একজন তাদের প্রধান সমন্বয়ক। নিজের শ্বশুড়কে হত্যার মাধ্যমে অপরাধীর খাতায় নাম লেখানো এই জুয়েলের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ১৮টি।

তিনি বলেন, ধনাঢ্য ব্যক্তিদের টার্গেট করে ব্যবসার কথা বলে নারীদের দিয়ে অপহরণ করে চক্রটি। জুয়েল রানা নিজেই ৩০টি অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মুক্তিপণের টাকা আদায় করেন তারা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, লিটন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে তিনি অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন, যেটা চাওয়া হয় ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে। এর মধ্যে ৪ লাখ টাকার সমপরিমাণ ডলার পাঠিয়ে দেওয়া হয় দুবাইয়ে রিফাত নামে একজনের কাছে। আর জুয়েল রানা নিয়ে নেন ৬ লাখ টাকা। এর আগেও এই চক্রের সদস্যরা গোয়েন্দা পুলিশের হাতেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles