13.2 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪

নারী চিকিৎসককে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলে রাখেন বিএসএমএমইউ অধ্যাপক, মামলা

নারী চিকিৎসককে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলে রাখেন বিএসএমএমইউ অধ্যাপক, মামলা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সবুজের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন মনোরোগ বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ডা. শহীদুল্লাহ সবুজ বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী নারী চিকিৎসককে নিজের কক্ষে ডাকতেন এবং ‘অশ্লীল ও আপত্তিকর’ প্রস্তাব দিতেন। একদিন কক্ষে ডেকে ভুক্তভোগীকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলে রাখেন তিনি। পরে ওই ছবি ব্যবহার করে শহীদুল্লাহ ভুক্তভোগীকে নিয়মিত হুমকি দিতেন। ২৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের অ্যালামনাই কক্ষে ডা. শহীদুল্লাহর সঙ্গে ভুক্তভোগীর দেখা হলে একা পেয়ে জোর করে তাকে জড়িয়ে ধরেন। ভুক্তভোগী বাঁচার চেষ্টা করলে তাকে মারধর করেন।

- Advertisement -

ভুক্তভোগী ওই নারী চিকিৎসক একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি তিন বছর ধরে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে মনোরোগ বিভাগে কর্মরত। ডা. শহীদুল্লাহ বিভিন্ন সময় রুমে ডেকে আপত্তিকর প্রস্তাব দিত। দেখা হলে রুমে যাওয়ার জন্য বলত। এমরধ্যে ডা. শহীদুল্লাহ জড়িয়ে ধরে ছবি তুলে রাখে এবং ব্ল্যাকমেইল করার হুমকি দেয়। কিন্তু সামাজিক মানসম্মানের ভয়ে তিনি চুপ থাকেন বলেও জানান।

একপর্যায়ে এ মাত্রা বাড়তে থাকে এবং ২৫ জানুয়ারির ঘটনার পর পরিবারের সাথে কথা বলে থানায় অভিযোগ দেন।

শাহবাগ থানা পুলিশ ডা. শহীদুল্লাহ সবুজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বজলুর রহমান বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। বিষয়টির তদন্ত চলছে।’

আর বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে ‘অপ্রত্যাশিত ও অনভিপ্রেত’ মন্তব্য করে অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এ ধরনের ঘটনা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ও অনভিপ্রেত। ওই নারী চিকিৎসক আজ শনিবার লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর অভিযোগ দাখিল করবেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নারী নির্যাতন সেল আছে, সেখানেও অভিযোগ করবেন। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন ও ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সবুজ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক। কিন্তু কেন এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে করা হচ্ছে তা বুঝতে পারছেন না। আইনীভাবে তিনি সব মোকাবিলা করতে চান।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles