7.7 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

ছাত্রীর সন্তান কোলে নিয়ে ক্লাস করিয়ে প্রশংসিত রাবি অধ্যাপক

ছাত্রীর সন্তান কোলে নিয়ে ক্লাস করিয়ে প্রশংসিত রাবি অধ্যাপক - the Bengali Times
ছবি সংগ্রহ

ছাত্রীর শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে ক্লাস করিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. আনিসুর রহমান। শিশুটিকে কোলে নিয়ে ক্লাস করানোর ছবি ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ ফেসবুকে গ্রুপে আপলোড করা হলে সেটি ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার সময় এক ছাত্রীর কন্যা সন্তানকে কোলে তুলে নেন ওই অধ্যাপক।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘দেড় বছরের বেশি সময় পরে ক্লাসে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা। আইন বিভাগের মাস্টার্সের একাধিক ছাত্রী সন্তানসহ ক্লাসে এসেছিলেন। তাদেরই একজনকে কোলে তুলে ক্লাস নেন প্রফেসর ড. আনিসুর রহমান স্যার। শান্তশিষ্ট বাচ্চাটিও দীর্ঘক্ষণ অবাক হয়ে স্যারের কোলে বসে থাকে।’

- Advertisement -

এ ঘটনায় শিক্ষকের প্রশংসা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবিতে দেখা যায়, অধ্যাপক মো. আনিসুর রহমান ডায়াসের ওপর দাঁড়িয়ে এক ছাত্রীর কন্যা শিশুকে কোলে নিয়ে পাঠদান করছেন। পরম মমতায় শিশুটি কচি হাতে তার বুক আঁকড়ে আছে।

আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা জানান, করোনার পরিস্থিতিতে দীর্ঘ বন্ধের সময় অনেক ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যায়। এর মধ্যে কয়েকজন সন্তানের জননীও হয়েছেন। তেমনই একজন হলেন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মারুফা তাসনিম। বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘প্রাইভেট ইন্টারন্যাশনাল ল’ কোর্সের ক্লাস করতে সন্তানকে নিয়ে আসেন তিনি। ছোট শিশুটি বারবার নড়াচড়া করলে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ওই ছাত্রীর। এ সময় শিশুকে নিজ কোলে তুলে নিয়ে পাঠদান চলমান রাখেন অধ্যাপক মো. আনিসুর রহমান।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক আনিসুর রহমান বলেন, ছবিটি যে ফেসবুকে ছড়িয়ে গেছে তা আমার জানা নেই। বৃহস্পতিবার আমার ক্লাসে তিনজন ছাত্রী তাদের সন্তান নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে প্রথম বেঞ্চে বসা ওই শিক্ষার্থীর সন্তান আমার দিকে বারবার আসতে চাচ্ছিল। এতে শিক্ষার্থীর মনযোগ কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। যে কারণে আমি নিজে তার সন্তানকে কোলে নিয়ে ক্লাস চলমান রাখি। করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ক্লাসে আসছেন, এটি আমাদের জন্য বিশাল প্রাপ্তি।

তিনি আরও বলেন, আশা করি, সশরীরে আমরা দ্রুত সব ক্লাস নিয়ে সিলেবাস শেষ করতে পারবো। এতে শিক্ষার্থীদের করোনাকালীন সময়ের যে ক্ষতি হয়েছে সেটি কিছুটা কমবে।

তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গ্রুপ পোস্টে, অনেকেই বেবি কেয়ার সেন্টার না থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles