14 C
Toronto
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

ডিপফেক কী, কীভাবে তৈরি হয় ও চেনার উপায়

ডিপফেক কী, কীভাবে তৈরি হয় ও চেনার উপায়
সম্প্রতি রশ্মিকা মন্দানা ও ক্যাটরিনা কাইফকে অস্বস্তিতে ফেলেছে ডিপফেক ভিডিও

চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন প্রিয় তারকাকে। কিন্তু যাকে দেখতে পাচ্ছেন তিনি আসল মানুষ নন। বিষয়টি পড়তে যতটা গোলমেলে, বাস্তবে এর চেয়ে বেশি জটিল। একজনের শরীরে অন্যজনের মুখ বসিয়ে মানুষকে কত বড় বিপদে ফেলা যায়, তা সম্প্রতি রশ্মিকা মন্দানা-ক্যাটরিনা কাইফের ভিডিও দেখিয়ে দিয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে যারা নাড়াচাড়া করেন তারা ইতোমধ্যে এআই ডিপফেক নামটির সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে যে কোনও মানুষের চেহারা, কণ্ঠস্বর সবকিছুই নকল করা যায়। যদিও এখন পর্যন্ত ডিপফেক শুধু তারকাদের নিশানা করেছে। তবে যে কেউ এর শিকার হতে পারেন।

- Advertisement -

ডিপফেক কী

ডিপফেক হলো এমন একটি প্রোগ্রাম যা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের একটি ধরন ‘ডিপ লার্নিং টেকনোলজি’ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। মূলত এই পদ্ধতিতে অডিও, ভিডিও এবং ছবিতে কারসাজি করে এমন কনটেন্ট বানানো হয়, যা দেখে আসল কি নকল তা বোঝার উপায় থাকে না।

যেভাবে তৈরি হয়

ডিপফেকের অ্যালগরিদম দুটি মুখের অর্থাৎ আসল ভিডিওর মুখ এবং যে মুখ সেখানে বসানো হবে দুটির মধ্যে মিল খুঁজে বের করে। এরপর তাদের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। সেক্ষেত্রে এমনই ভিডিও খুঁজে বের করা হয়, যেখানে ক্লোজ আপ শট প্রায় নেই বললেই চলে। একইসঙ্গে ডিপফেক ভিডিওর দৈর্ঘ্য খুব একটা বড় হয় না। কারণ এই প্রযুক্তির পক্ষে বড় দৈর্ঘ্যের ভিডিও হুবহু সম্পাদনা করা প্রায় অসম্ভব।

চেনার উপায়

ডিপফেক ভিডিওতে ব্যক্তির তাকানো কিংবা মুখের এবং শরীরী ভঙ্গিমাতে অসঙ্গতি থাকে। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির কথা বলা কিংবা কাজের সঙ্গে তার চাহনির মিল খুঁজে পাবেন না। একইসঙ্গে ডিপফেক ভিডিওতে ব্যক্তির মুখ এবং আশপাশের আলোতে সামঞ্জস্যের অভাব থাকে।

অডিওর মান আর পাঁচটা স্বাভাবিক ভিডিওর চেয়ে আলাদা হয়। তাই কোনও ভিডিও নিয়ে সন্দেহ হলে তার অডিওর মান যাচাই করে নিতে পারেন। ডিপফেক ভিডিওতে ব্যক্তির হাত-পা কিংবা মুখের আদল বেশ খানিকটা বদলে যায়। অর্থাৎ দেখতে লম্বাটে কিংবা চ্যাপ্টা লাগে। খানিকটা নজর দিলে এই বিকৃতভাব চোখে পড়বে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles