20.2 C
Toronto
শনিবার, মে ১৮, ২০২৪

প্রেমের টানে ভারতে পাকিস্তানি নারী, আইএসআই সন্দেহে আটক

প্রেমের টানে ভারতে পাকিস্তানি নারী, আইএসআই সন্দেহে আটক
ছবি সংগৃহীত

প্রেমের টানে বৈরি দেশ ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন এক পাকিস্তানি নারী। তবে তাকে আইএসআই চর সন্দেহে আটক করেছে উত্তর প্রদেশ অ্যান্টি টেরর স্কোয়াড (এটিএস)।

অনলাইন গেম পাবজি খেলার সূত্র ধরে ভারতীয় যুবক শচীন মিনার সঙ্গে পরিচয় হয় পাকিস্তানি নারী সীমা হায়দারের। সেই সূত্র ধরে চার সন্তান নিয়ে উত্তর প্রদেশে শচীনের কাছে চলে যার সীমা। তবে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করে এটিএস।

- Advertisement -

এটিএস কর্মকর্তারা সিমার আইডিসহ অন্যান্য নথিপত্র দেখেছেন, তার সন্তানদের নথি পরীক্ষা করছেন। উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ মহাপরিচালক প্রশান্ত কুমার বলেন, এটা খুবই নিয়মিত একটা তদন্ত। যেকোনও পাকিস্তানি নাগরিক ভারতে বসবাস করতে গেলেই আমরা তার কাগজপত্র যাচাই করে দেখি।

চলতি মাসের শুরুর দিকে ২৭ বছর বয়সী সীমা হায়দার শচীনের সঙ্গে দেখা করতে ভারতে প্রবেশ করেন। সরাসরি আসতে না পেরে তিনি দুবাই ও নেপাল ঘুরে আসেন। সঙ্গে ছিল চার সন্তান যাদের প্রত্যেকেরই বয়স ৭ বছরের কম।

তবে সীমা ভারতে প্রবেশের পরপরই আলোচনা শুরু হয় এটি হয়তো শুধুমাত্র কোনও সাহসী কোনও প্রেমের গল্প নয়, অন্য উদ্দেশ্যও থাকতে পারে। এই শঙ্কা থেকে পুলিশ সীমাকে গুপ্তচর সন্দেহে তদন্ত শুরু করে।

কর্মকর্তারা বলেন, উত্তর প্রদেশের এটিএস এই তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে। এটিএস এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাভিন আরোরা বলেন, সীমা ও শচীন দুজনকেই বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের এই আন্তসীমান্ত প্রেম-কাহিনীর পেছনের গল্প জানার চেষ্টা করা হবে। তবে তার সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না কারণ সবার বয়সই সাতের নিচে।

এই কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে যে, সীমাকে হয়তো পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) বিশেষ কোনো মিশন দিয়ে পাঠিয়েছে। কারণ, গোয়েন্দা জগতে সেনা, পুলিশ এমনকি আধাসামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের ফাঁদে ফেলতে সুন্দরী নারীদের ব্যবহার করে ‘হানিট্র্যাপ’ করার বিষয়টি অতি পুরোনো কৌশল।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles