11.3 C
Toronto
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

পরিত্যক্ত সোনার খনিতে বিস্ফোরণ, নিহত ৩১

পরিত্যক্ত সোনার খনিতে বিস্ফোরণ, নিহত ৩১

এক মাস আগে সাউথ আফ্রিকার সোনার খনিতে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই প্রতিবেশী লোসোথোর নাগরিক বলে জানা গেছে। সাউথ আফ্রিকার একটি পরিত্যক্ত সোনার খনিতে মিথেন গ্যাসের বিস্ফোরণে ৩১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সাউথ আফ্রিকা সরকার এই তথ্য জানায়।

- Advertisement -

জোহানেসবার্গ থেকে ২৬০ কিলোমিটার দূরে ভার্জিনিয়ার একটি সোনার খনিতে একমাসেরও বেশি সময় আগে গত ১৮ জুন বিস্ফোরণের এই ঘটনা। কিন্তু ঘটনার একমাস পর এবিষয়ে তথ্য পায় সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে ‘অদ্ভুত’ বলে দাবি করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানের পরিকল্পনা
দেশটির মিনারেল রিসোর্স অ্যান্ড এনার্জি বিভাগের দাবি, সোনার খনিটির ভেতরে চলাচলের জায়গায় অতিরিক্ত মাত্রায় মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি ছিল।

মিনারেল রিসোর্স অ্যান্ড এনার্জি বিভাগে বলছে, ‘‘এই মুহূর্তে সেখানে অনুসন্ধানী দল পাঠানোয় ঝুঁকি রয়েছে। তবে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা সম্ভাব্য নানা উপায় পর্যালোচনা করে দেখছি।”

নিহতদের সবাই প্রতিবেশি রাষ্ট্র লেসোথোর নাগরিক। অবশ্য লেসোথোর শ্রমিকদের সাউথ আফ্রিকার খনিতে কাজ করার বিষয়টি নতুন নয়। দেশটির হাজার হাজার শ্রমিক সাউথ আফ্রিকার সোনার খনিসহ সেখানকার প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যান্য খনিতে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করে থাকে।

সাউথ আফ্রিকার মিনারেল রিসোর্স অ্যান্ড এনার্জি বিভাগের একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি শ্রমিকদের সহায়তায় অন্তত তিনটি মৃতদেহ খনি থেকে বের করা হয়েছে। সে হিসেবে খনিতে আরো ২৮ জনের মৃতদেহ রয়েছে।”

মৃতদেহ লোসোথোতে আনার চেষ্টা
লেসোথোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে অবস্থিত সাউথ আফ্রিকার দূতাবাসকে এ বিষয়ে গত ১০ জুন অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু সাউথ আফ্রিকা সরকার কেন বিষয়টি জানাতে দেরি করেছে তা বোধগম্য নয়।

লেসোথোর প্রধানমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র জানান, তারা সাউথ আফ্রিকার সরকারের সাথে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করতে এবং দেশে ফেরত আনতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles