20.2 C
Toronto
শনিবার, মে ১৮, ২০২৪

মৃত্যুর আগে আমাজন থেকে উদ্ধার চার শিশুকে যা বলেছিলেন তাদের মা

মৃত্যুর আগে আমাজন থেকে উদ্ধার চার শিশুকে যা বলেছিলেন তাদের মা
<br >কলম্বিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বিমান বিধ্ধস্তের পাঁচ সপ্তাহ পর সামরিক বাহিনীর উধ্ধার করা শিশুরা ছবি সিএনএন<br >কলম্বিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বিমান বিধ্ধস্তের পাঁচ সপ্তাহ পর সামরিক বাহিনীর উধ্ধার করা শিশুরা ছবি সিএনএন

কলম্বিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের আমাজন থেকে বিমান বিধ্বস্তের ৪০ দিন পর চার জীবিত শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পরে তাদের বোগোটার একটি হাসপাতালে ভর্তি কর হয়। বর্তমানে তারা চারজনই শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

উদ্ধারকৃত চার শিশুর নাম যথাক্রমে লেসলি জ্যাকবোম্বায়ার মুকুতুয় (১৩), সোলেনি জ্যাকবোম্বায়ার মুকুতুয় (৯), তিয়েন রানোক মুকুটুয় (৪) এবং ১ বছর বয়সী ক্রিস্টিন রানোক মুকুতুয়।

- Advertisement -

বিমান দুর্ঘটনায় তাদের মা ম্যাগডালেনা মুকুতুই মারা যান। সুস্থ হবার পর ১৩ বছর বয়সী লেসলি তার বাবাকে জানায়, তার মা দুর্ঘটনার পর আরও চারদিন বেঁচে ছিলেন। মৃত্যু পথযাত্রী ম্যাগডালেনা তাদের বলেছিলেন, ‘আমাকে রেখে এখান থেকে বেরিয়ে যাও ও সাহায্য খোঁজো।’

গণমাধ্যমকর্মীদের এই কথা জানিয়েছেন ওই চার শিশুর বাবা ম্যানুয়েল রানুক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তার বড় মেয়ে জানিয়েছে, তাদের মা তাকে বলেছিল, ‘এখান থেকে বেরিয়ে যাও এবং নিজেদের বাঁচাও।’

রানুক আরও বলেন, মৃত্যুর আগে ওদের মা বলেছিল, তোমরা এখান থেকে চলে যাও। তোমরা এখান থেকে বাবার কাছে গেলে দেখবে বাবা তোমাদের কতটা ভালোবাসেন। তোমাদের আমি যেমন ভালোবাসি, তোমাদের বাবাও সেভাবে ভালোবাসবে ‘

গত ১ মে আমাজন বনের একটি এলাকা থেকে কলম্বিয়ার অন্যতম শহর সান হোসে গুয়াভাইরো শহরের উদ্দেশে একটি বিমান যাত্রা করে। কিন্তু যাত্রাপথে বিমানটি কলম্বিয়ার ক্যাকুয়েটা ও গুয়াভিয়ারে প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

বিমান যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছিল সেখান থেকে সামরিক বাহিনী ওই চার শিশুকে উদ্ধার করেছে। সামরিক বাহিনী উদ্ধার অভিযানে উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরও তাদের সহযোগিতা করে। জঙ্গলে বেঁচে থাকার তাগিদে শিশুদের খাওয়া ফলের উচ্ছিষ্ট তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে কাজে লেগেছে বলে জানা যায়।

উদ্ধারের পর শনিবার কলম্বিয়ার বিমানবাহিনীর বিমান অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে তারা বোগোটার একটি হাসপাতালে রয়েছে। বর্তমানে তারা চারজনই শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ওই বিমান দুর্ঘটনায় চার শিশুর মা ম্যাগডালেনা মুকুতেই ভ্যালেন্সিয়া, পাইলট হার্নান্দো মুর্সিয়া মোরালেস ও ইয়ারুপারি উপজাতি গোষ্ঠীর নেতা হারম্যান মেন্দোজা হার্নান্দেজ নিহত হন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles