অভিনয় জীবনে তিনি দারুণ সফল। একের পর এক হিট চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। নির্মাতাদের প্রথম সারির পছন্দ তিনি। তবে ব্যক্তিগত জীবনে ঠিক ততটাই অগোছাল নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি।
সম্প্রতি স্ত্রী আলিয়ার সঙ্গে বিবাদের পর থেকে নওয়াজের ব্যক্তিগত জীবনে তীব্র ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। এ ঘটনার পর বলিউডে কাজের সংখ্যাও কম হয়েছে নওয়াজের। সব মিলিয়ে নওয়াজের জীবন চলছে কঠিন সময়ের মধ্যে। মানসিক অবসাদে ভুগছেন তারকা।
এরইমধ্যে নওয়াজের স্ত্রীর নতুন এক অধ্যায় সামনে এসেছে। জানা গেছে, নতুন প্রেমিকের সঙ্গে জমিয়ে প্রেম করছেন আলিয়া!
দীর্ঘদিন ধরেই নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন আলিয়া। তবে তারই মাঝে দুই সন্তান শোরা ও ইয়ানির দায়িত্ব আপাতত দুজনেই মিলেই পালন করছেন। তবে নওয়াজের সঙ্গে পাকাপাকিভাবে আইন বিচ্ছেদের আগেই নতুন প্রেমের ইঙ্গিত দিলেন নওয়াজের স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকি।
তবে নওয়াজকে ভুলে এখন কার সঙ্গে প্রেম করছেন আলিয়া, সেই ব্যক্তির বিষয়ে অবশ্য কোনো কিছুই জানা যায়নি। আপাতত তিনি ‘রহস্যময়’ কোনো ব্যক্তি।
এদিকে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে আলিয়া সিদ্দিকি ই’টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, “হ্যাঁ, আমরা দুজনেই এই সম্পর্কটা থেকে বের হয়ে গেছি। এখন বরং আমরা বন্ধু। আমাদের মধ্যে আর কোনো প্রতিশ্রুতি এখন নেই।
এখন আমি আমার মতো জীবন কাটাতে পারি। আমি আমার বাচ্চাদের সঙ্গে রয়েছি, ওদের কোনো সমস্যায় পড়তে দিতে চাই না। বরং এই সম্পর্কটাই বেশী সম্মানীয়। বিচ্ছেদ এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। আসলে এটা অভ্যাস, আপনি যদি ভালো কিছুও করেন, তাহলেও মানুষ আপনার মধ্যে খারাপটাই খুঁজবে।”
প্রেমিকের নাম না নিলেও নতুন প্রেমের কথা মেনে নিয়ে আলিয়া বলেন, “উনি একজন দারুণ মানুষ, ভীষণ ভালো। আমি ওর বুদ্ধিমত্তায় মুগ্ধ। শুধু মাত্র অর্থই সুখ আনতে পারে না। উনি আমাকে শ্রদ্ধা করেন। তবে উনি এদেশীয় নন, ইতালির। আমাদের দুবাইতে আলাপ হয়। আমরা অনেক দিনের বন্ধু। উনি আমাকে যথেষ্ঠ সম্মান দেন।”
এদিকে সম্প্রতি সন্তানদের নিয়ে নওয়াজের দুবাই যাওয়া প্রসঙ্গে আলিয়া বলেন, “নওয়াজ সম্প্রতি দুবাই এসেছেন, আমাদের মধ্যে বিষয়টা মিটে গেছে। ওর সঙ্গে আমার কথাও হয়েছে, বাচ্চারা এখানেই থাকবে। ওরা খুশি থাকলেই আমি খুশি।” নওয়াজের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেলেই নিজের নামের পাশ থেকে সিদ্দিকি পদবী সরিয়ে ফেলবেন বলে জানান আলিয়া। তার কথায়, আমি আর কারো পদবী ব্যবহার করবো না। আমি আমার নিজের নামটুকুতেই খুশি।
এর আগে আইনি লড়াইয়ের সময় নওয়াজের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, আলিয়া একাধিকবার বিয়ে করেছেন আর নিজের পদবী বদলেছেন। ২০০১ সালে ক্লাস এইট ফেল আলিয়া বিয়ে করেন বিনয় ভার্গভ নামের এক ব্যক্তিকে। তখন আলিয়ার নাম ছিল অঞ্জলি কুমারী। পরবর্তী সময়ে মুম্বাইয়ে আসার পর আলিয়ার নাম হয় অঞ্জলি পাণ্ডে। ২০১০ সালে নাম পাল্টে তিনি হন অঞ্জলি আনন্দ। পরবর্তী সময়ে রাহুল নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করছিলেন আলিয়া তখন নাম ছিল অঞ্জনা। পড়ে রাজকুমার শুক্লা নামে এক ব্যক্তিকেও বিয়ে করেছিলেন। তাদের আইনি বিচ্ছেদ হয়নি বলেও জানিয়েছিলেন নওয়াজ। আবার পরে নাকি ইসলাম গ্রহণ করে আলিয়ার নাম হয়েছিল জয়নব।
সূত্র : নিউজ ১৮