নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় সহিংসতার আশঙ্কা থেকেই প্রশাসনের অনুরোধে সকালেই প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। এরপর দুপুরে শুরু হয় হামলা। পুলিশ বলছে, প্রধান সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে সংঘাতে ব্যস্ত রেখেই পরিকল্পিতভাবে গলিতে গলিতে মন্দির ও পূজামন্ডপে হামলা চালিয়ে ছিল দুর্বৃত্তরা।
কুমিল্লায় মন্দিরে কুরআন অবমাননার ঘটনা নিয়ে চরম উত্তেজনার একদিন পর ১৫ অক্টোবর, শুক্রবারেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ছিল প্রতিমা বিসর্জন। তাই সংঘাতের আশঙ্কায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় দেড়শ পুলিশসহ বিজিবি র্যাব মাঠে নামে।
তবে জুম্মার নামাজ শেষে মিছিলকারীরা চৌমুহনীর প্রধান সড়কেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে একই সময় সেখানকার পাড়ায় মহল্লায় মন্দিরে মন্দিরে হামলা চালায় তারা।
বেগমগঞ্জ রাধামাধব জিউর মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক রতন লাল সাহা বলেন, ‘ চানশ থেকে পাঁচশ লোক আমাদের এই মন্দিরে আক্রমণ চালিয়েছে। আমাদের টাকা-পয়সা, স্বর্ণ-অলঙ্কার লুটপাট করেছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ধ্বংস করে দিয়েছে।’
বেগমগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দ পাল অভিযোগ করেন, মন্দির-মণ্ডপ রক্ষায় প্রশাসনের নজর না থাকায় হামলার সময় কোনো সাহায্য পাওয়া যায়নি।
তবে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলামে দাবি, প্রধান সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষীবাহিনীকে সংঘাতে ব্যস্ত রেখেই পরিকল্পিতভাবে গলিতে গলিতে মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে ছিল দুর্বৃত্তরা।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এই হামলা ঠেকানোর জন্য। দুর্বৃত্তরা হাজার হাজার লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে জড়ো হয়ে পুলিশকে বাধা প্রদান করে। এছাড়াও আমাদের সঙ্গে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল তাদেরকেও বাধা প্রদান করে।’
নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ৭টি মন্দির ও ৫টি পূজামণ্ডপে ২জন নিহত ও আহত হন কমপক্ষে ৫০জন।