11.4 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

ফেসবুকে ‘মেজর’ পরিচয়ে নারীদের ফাঁদে ফেলতেন রাজ্জাক

ফেসবুকে ‘মেজর’ পরিচয়ে নারীদের ফাঁদে ফেলতেন রাজ্জাক
অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক

ফেসবুকে মেজর পরিচয়ে এক নারীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন আব্দুর রাজ্জাক ওরফে সাগর চৌধুরী। পরে ভুক্তভোগী সোনিয়াসহ আরও চার নারীকে বগুড়ার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নার্সের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নেন ১৭ লাখ টাকা। র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর এসব কথা জানিয়েছেন ভুয়া মেজর রাজ্জাক। শনিবার টাঙ্গাইলের কালিহাতির দক্ষিণ বেতডোবা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১০।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে শনিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় বাড়ি আব্দুর রাজ্জাকের। দীর্ঘদিন সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে বেকার নারীদের টার্গেট করে বিভিন্ন মেডিকেলে নার্সসহ বেসামরিক পদে চাকরির প্রস্তাব দিতেন এই প্রতারক। তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে ফাঁদে পা দিলেই কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতেন তিনি। এভাবে অনেক নারীর সঙ্গে প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

- Advertisement -

শনিবার তাকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে সেনাবাহিনীর কম্ব্যাট ইউনিফর্ম, কাঁধব্যাগ, নেমপ্লেট, ফেস মাস্ক, ফিল্ড ক্যাপ, সিলযুক্ত মানিব্যাগ, লাইসেন্স, পাঁচটি ভুয়া নিয়োগপত্র, মেডিকেল সনদপত্র ও পাঁচটি ভুয়া এনআইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

ফরিদ উদ্দিন বলেন, রাজধানীর কামরাঙ্গীচর থানায় একটি অভিযোগের সূত্র ধরে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, ফেসবুকে নিজেকে মেজর পরিচয় দিয়ে সে বগুড়ার মাঝিরা সেনানিবাসে কর্মরত বলে জানান সোনিয়াকে। ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলার সময় বিশ্বাস অর্জনের জন্য সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত অবস্থায় কথা বলতেন। পরে বগুড়া সিএমএইচে নার্সের চাকরি দেওয়ার কথা বলে পাঁচজনের কাছ থেকে কৌশলে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ভুয়া মেজর। পরবর্তীতে তারা রাজ্জাকের কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে না পেরে কামরাঙ্গীরচর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক বলেন, গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক বিপুল পরিমাণ সিম কার্ড ব্যবহার করতেন। পাশাপাশি ফেসবুকে পরিচয় হওয়া নারীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকের একাউন্ট খুলতেন। প্রতারণার টাকা পরিবহন ব্যবসায় বিনিয়োগ করতেন। কোনো ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও শিক্ষিত নারীদের ফাঁদে ফেলতেন তিনি। এভাবে সে চারজন নারীকে বিয়ে করেছে। ভিন্ন ধর্মী এক নারীকে বিয়ের চেষ্টার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে গাইবান্ধায় আরও একটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles