13.5 C
Toronto
শনিবার, মে ৪, ২০২৪

ভিউ কামাতে বিমান দুর্ঘটনার নাটক, ২০ বছর কারাদণ্ডের মুখে ইউটিউবার

ভিউ কামাতে বিমান দুর্ঘটনার নাটক, ২০ বছর কারাদণ্ডের মুখে ইউটিউবার

কনটেন্টের ভিউ বাড়াতে ইউটিউবাররা আজব সব ঘটনা ঘটান। কেউ কেউ ধারণ করেন দুঃসাহসিক কোনো ঘটনার ভিডিওচিত্রও। যতো দুঃসাহসিক ঘটনা তত বেশি ভিউ! তবে দুঃসাহস দেখাতে গিয়ে মার্কিন যুবক জ্যাকব যা করেছেন তা অনেকের কাছেই অকল্পনীয়।

- Advertisement -

দুঃসাহসের প্রমাণ দিতে গিয়ে ২৯ বছরের এই যুবক একটি প্লেনই ধ্বংস করে দিয়েছেন। এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট নিজ মালিকানাধীন ওই বিমানটিতে তিনি একাই অবস্থান করছিলেন এবং চালাচ্ছিলেন।

এ বিষয়ে শুক্রবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটি ইচ্ছাকৃতভাবে বিধ্বস্ত করা হলেও কর্তৃপক্ষের কাছে এটিকে দুর্ঘটনা বলে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন জ্যাকব। এ অবস্থায় তথ্য গোপন এবং নিরাপত্তাজনিত আইন ভঙ্গের কারণে তার ২০ বছর জেল হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জ্যাকবের তৈরি নাটকীয় ওই ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, মাঝ আকাশে বিমানটি নিয়ে উড়ছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে বিমানটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। পরে একটি প্যারাস্যুট নিয়ে বিমান থেকে তিনি লাফ দেন। এসময় তার হাতে ছিল একটি সেলফি স্টিক। এর মাধ্যমে উড়ন্ত অবস্থায় ভিউয়ারদের কাছে ঘটনার বিবরণ দিচ্ছিলেন তিনি।

এ ছাড়া ডানায় বসানো একটি ক্যামেরার মাধ্যমে নিচের দিকে নামতে থাকা বিমানটিরও ভিডিও ধারণ করেন জ্যাকব। পুরো ঘটনাটি দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হয় একটি ড্রোন ক্যামেরাও।

ভিডিওতে দেখা যায়, প্যারাস্যুট নিয়ে একটি ঝোপের মধ্যে গিয়ে অবতরণ করেন জ্যাকব। আর বিমানটি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার পাহাড় ও জঙ্গলাকীর্ণ লস পারদেস ন্যাশনাল ফরেস্ট এলাকায় সজোরে গিয়ে আঁছড়ে পড়ে।

‘আই ক্রাশড মাই প্লেন’ শিরোনামে দুঃসাহসিক এই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বরে। প্রায় এক বছর পর তা ইউটিউবে আপলোড করা হয়। ১৫ মিনিটের ওই ভিডিওটি ইতোমধ্যে ৩১ লাখ ভিউ হয়েছে।

এদিকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করা হলেও কর্তৃপক্ষের কাছে বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে একটি প্রতিবেদন জমা দেন জ্যাকব। তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড এবং ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এ সময় জ্যাকব তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেন, তিনি জানেন না প্লেনটি কোথায় নেমে গেছে। যদিও তদন্তে বেরিয়ে আসে তিনি ও তার এক বন্ধু একটি হেলিকপ্টার নিয়ে বনের ভেতর থেকে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ এবং এতে স্থাপন করা ক্যামেরা থেকে ভিডিওগুলো উদ্ধার করেছিলেন।

এ ঘটনার জের ধরে কিছুদিনের মধ্যেই জ্যাকবের বিমান চালানোর লাইসেন্স বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। তদন্তে বেরিয়ে আসে বিমান দুর্ঘটনার নাটকটি সাজাতে একটি কোম্পানির কাছ থেকে স্পন্সর নিয়েছিলেন তিনি।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নিজের অপকর্মের কথা আদালতে স্বীকার করতে সম্মত হয়েছেন জ্যাকব। এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles