20.2 C
Toronto
শনিবার, মে ১৮, ২০২৪

ডলারের পরিবর্তে ইউয়ানে ঋণ দিতে চায় চীন

ডলারের পরিবর্তে ইউয়ানে ঋণ দিতে চায় চীন

দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সুবিধার্থে এবং ডিজিটাল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য ঋণ গ্রহণের সময় বাংলাদেশকে ঋণের মুদ্রা হিসাবে রেনমিনবি (ইউয়ান) ব্যবহার করার কথা বিবেচনায় রাখার সুপারিশ করেছে চীনের এক্সিম ব্যাংক।

- Advertisement -

চীনের এক্সিম ব্যাঙ্কের রেয়াতি ঋণ বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার লি কিউনজি বলেছেন, “চলমান ইউএস ডলার সংকট এবং ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনে অগ্রগতি বিবেচনা করে আমরা জোরালোভাবে সুপারিশ করছি যে লোন কারেন্সি হিসেবে ‘ইউয়ান’ ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করুন।”

কিউনজি চিঠিতে বলেছেন, “মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারের বেঞ্চমার্ক বৃদ্ধি সহ ইউএসডি হারের বর্তমান ওঠানামার প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ এবং চীন উভয়ই উচ্চ অর্থায়ন ব্যয়ের মতো উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি বহন করছে। বাজারে মার্কিন ডলারের দামের কারণে পিবিসির অর্থায়ন করা প্রকল্পেও সুদের হার বৃদ্ধি পেতে পারে। অর্থায়নের মুদ্রা হিসেবে ইউয়ানের ব্যবহার সুদের হারের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি ও ডলারের ঘাটতির চাপ থেকে মুক্তি দিতে পারে।”

চীনের এক্সিম ব্যাংকের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দেওয়া অগ্রাধিকার প্রকল্প তালিকা অনুযায়ী আরও সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইআরডির একজন কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলেও অর্থ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইআরডির কাছে এ বিষয়ে মতামত চেয়েছে। তিনি জানান, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের প্রবণতা বিবেচনায় প্রস্তাবটি যৌক্তিক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার চীনকে ইউয়ানের পরিবর্তে মার্কিন ডলারে ঋণ পরিশোধ করে। তাই বর্তমান সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের সময় স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারক অনুসারে ২০ বিলিয়ন ডলার ঋণের আশ্বাস দিয়েছে। পিবিসি প্রকল্পটি ছিল ২৭টির মধ্যে একটি যার পরিপ্রেক্ষিতে এই ঋণ অনুমোদন করা হয়।

বাংলাদেশ চীনে পণ্য রপ্তানি করে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার আয় করে। যেখানে বিশাল অর্থনীতি থেকে আমদানি বার্ষিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া বর্তমানে দেশে চীনা অর্থায়নে সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের জন্য মোট ৭৬৪ কোটি ডলার দিচ্ছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। প্রেফারেন্সিয়াল বায়ার্স ক্রেডিটের (পিবিসি) আওতায় এসব ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। এই ঋণের একটি শর্ত হলো- চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসব প্রকল্পে কাজ করবে।

সূত্র : কালেরকন্ঠ

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles