2.9 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

কসাইয়ের মতো কাটা হয় দেহ, মমতাজের ছেলেকে খুঁজছে পুলিশ

কসাইয়ের মতো কাটা হয় দেহ, মমতাজের ছেলেকে খুঁজছে পুলিশ
<br >ছবি সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে মমতাজ বেগম নামের এক নারীর বিবস্ত্র ও খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মমতাজকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজ্জামান আশরাফ ঘটনাস্থলের বর্ণনা দিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কসাই যেভাবে মাংস কাটে, সেভাবে তার দুই হাত ও দুই পা কাটা হয়েছে। ঘটনাস্থলের দৃশ্যটি বীভৎস ছিল।

- Advertisement -

তবে নিহত মমতাজের ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম রকিকে খুঁজে পেলে হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে বলে জানান এসপি।

মাহফুজ্জামান আশরাফ আরো জানান, স্টাফ কোয়ার্টারটিতে রক্ত দেখা গেছে বলে রাতে ৯৯৯-এ কল আসে। এতে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। বাসার সামনের দরজা বন্ধ ছিল। এতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পেছনের দরজা দিয়ে বাসায় ঢোকে পুলিশ। ঢুকতেই মাংসের টুকরা পড়ে ছিল। তখনো বোঝা যায়নি সেটি কিসের মাংস ছিল। পরে একটি পাটি দিয়ে ঢাকা অবস্থায় মমতাজ বেগমের শরীরের কাটা অংশ দেখতে পাওয়া যায়। তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

মমতাজের বড় ছেলে শরীফুল ইসলাম বাপ্পীসহ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এসপি জানান, চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন কুশাখালী গ্রামের বাড়িতে মমতাজ ও তার বড় ছেলে বাপ্পী ঈদ করতে যান। কিন্তু ছোট ছেলে রকি সেখানে ঈদ করতে যাননি। তিনি এই কোয়ার্টারেই ছিলেন তিন দিন ধরে। ছোট ছেলের সঙ্গে মমতাজের মনোমালিন্য ছিল। সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০-১১টার দিকে বড় ছেলে রকি তার মাকে বাসে তুলে দেন এখানে আসার জন্য। কিন্তু তখন বড় ছেলে আসেননি। এখানে ছোট ছেলে ছিলেন।

মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, মমতাজ এখানে আসার পরই ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার ছোট ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মোবাইলটিও বন্ধ রয়েছে। বাপ্পীও তার ছোট ভাইয়ের সন্ধান দিতে পারেননি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী কারণে হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে, কারা ঘটিয়েছে, অচিরেই তা বের হয়ে আসবে। মমতাজের দুই মেয়ে আছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার ছোট ছেলেকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তাকে খুঁজে পেলে রহস্যের উদঘাটন হবে।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ বি ছিদ্দিক ও মংনেথোয়াই মারমা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, নিহত মমতাজ বেগম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কুশাখালী ইউনিয়নের মৃত আব্দুল মতিনের স্ত্রী। তার স্বামী সড়ক বিভাগে চাকরি করতেন। স্বামী মতিন মারা যাওয়ার পর থেকেই মমতাজ তার দুই ছেলে বাপ্পী ও রকিকে নিয়ে সড়ক বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করে আসছেন। তার বড় ছেলে বাপ্পী বর্তমানে মাস্টার রোলে সড়ক বিভাগে কাজ করছেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles