2.1 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

সিআইডির দুই কর্মকর্তার শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক

সিআইডির দুই কর্মকর্তার শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক - the Bengali Times

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দুই কর্মকর্তা বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

- Advertisement -

সিআইডির দুই কর্মকর্তারা হলেন- এএসপি সারোয়ার কবির (রংপুর) ও এসআই ওয়ালিউল্লাহ (ঢাকা)। সম্প্রতি এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথকভাবে দুটি অভিযোগ অনুসন্ধানের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দুই কর্মকর্তাকে তলব করা হবে। দুদক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, এএসপি সারোয়ার কবিরের বিরুদ্ধে চাকরির কয়েক বছরের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন : গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কানাডায় উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি

অপরদিকে এসআই ওয়ালিউল্লাহর বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ঘুষের টাকা দিয়ে তিনি রাজধানীর রাজারবাগে ৭ তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। উত্তরায় বাড়িসহ জমি কিনেছেন। নেত্রকোনায় বাড়ি ও জমি কিনেছেন। সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহেও রয়েছে তার কেনা সম্পত্তি। বিলাসবহুল প্রাইভেটকারসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের উপসহকারী পরিচালক প্রবীর কুমার দাসকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থেকে এক নারী ও তার ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে গত ২৪ আগস্ট এএসপি সারোয়ার কবিরসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপর আসামিরা হলেন- রংপুর সিআইডির এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক, মাইক্রোবাস চালক হাবিবুর ও সিআইডির সোর্স খাসিউর রহমান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৩ আগস্ট রাত ৮টার দিকে ৭-৮ জন পুলিশ পরিচয় দিয়ে চিরিরবন্দরের নান্দারাই গ্রামের লুৎফর রহমানের বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে মা-ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে তারা।

সূত্র : যুগান্তর

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles