6.3 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

ফেসবুক নানা কারণেই বিরক্তিকর লাগে

ফেসবুক নানা কারণেই বিরক্তিকর লাগে
এখানে এত মানুষ এত এত মানুষের এত এত চিন্তা ভাবনা এত মত এত পথ কেউ রাজনীতি নিয়ে লেখে কেউ বা আবার ধর্ম নিয়ে কেউ বা সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কেউ বা অহেতুক খোঁচাখুঁচিতে মেতে থাকে কেউ বা কাউকে টেনে নামাতে চায় কেউ বা কোন ইস্যু নিয়ে বিতর্কে মেতে থাকে কেউ বা শুধুমাত্র নিজের ছবি শেয়ার করেই আনন্দ পায় কেউ বা শুধুমাত্র বিনোদনমূলক লেখা দিতেই পছন্দ করে কেউ বা বানী চিরন্তনের মতো বানী বিলোয় কেউ বা কিছু না করে নিষ্ক্রিয় থাকেকেউ কেউ ভালো ভালো গল্প লেখে পাঠকদের আনন্দ দেয়কেউ ইত্যাদি ইত্যাদি

ফেসবুক যে আমার খুব একটা ভালো লাগে, তা নয়। মাঝে মাঝে খুবই বিরক্তিকর মনে হয়। “মাঝে মাঝে” কথাটাও ঠিক হয়নি। বেশির ভাগ সময় বিরক্তিকর মনে হয়। কিন্তু ফেসবুক চর্চা অনেকটা অভ্যাসের মতো হয়ে গেছে। প্রতিদিন সকালে চা না খেলে যেমন একটা খুঁতখুঁতে অনুভূতি হয়, ফেসবুকে না আসলে অনেকটা সেই ধরনের অনুভূতি হয়। প্রতিদিন CP24 নিউজ চ্যানেল না দেখলে যেমন অনুভূতি হয় ফেসবুকে একবার দুবার কিংবা তার চেয়েও অধিক বার না আসলে একটা শূন্যতার মতো লাগে।

যাই হোক, ফেসবুক নানা কারনেই বিরক্তিকর লাগে। এখানে এত মানুষ! এত এত মানুষের এত এত চিন্তা ভাবনা। এত মত, এত পথ! কেউ রাজনীতি নিয়ে লেখে, কেউ বা আবার ধর্ম নিয়ে, কেউ বা সমসাময়িক বিষয় নিয়ে , কেউ বা অহেতুক খোঁচাখুঁচিতে মেতে থাকে, কেউ বা কাউকে টেনে নামাতে চায়, কেউ বা কোন ইস্যু নিয়ে বিতর্কে মেতে থাকে, কেউ বা শুধুমাত্র নিজের ছবি শেয়ার করেই আনন্দ পায়, কেউ বা শুধুমাত্র বিনোদনমূলক লেখা দিতেই পছন্দ করে, কেউ বা বানী চিরন্তনের মতো বানী বিলোয়, কেউ বা কিছু না করে নিষ্ক্রিয় থাকে,কেউ কেউ ভালো ভালো গল্প লেখে পাঠকদের আনন্দ দেয়…কেউ ; ইত্যাদি ইত্যাদি!
এর মধ্যে আবার আছে বিভিন্ন গ্রুপের এক্টিভিটি, বিভিন্ন অনুষ্ঠান, উপ-অনুষ্ঠানের আমন্ত্রন-নিমন্ত্রন, লাইভ প্রগ্রাম, লাইভ টকশো, টিক টক, রিল.. উফফফ.. ভাবতেই কাহিল লাগে!!

- Advertisement -

এটা যেন কৃষ্ণগহ্বরের মতো! বিগ ব্যাং। শুরু কোথায় শেষ কোথায়!! অন্তহীন।

কথা হচ্ছে, একজন মানুষের ব্রেইনে এত কিছুকে একসাথে accommodate করা কি সম্ভব? হাফ ধরে যায়!!
আবার ফেসবুকে থাকলে লাইক দাও, কমেন্ট করো, তেল মারো, খুশি করো ইত্যাদি নিয়ম,রীতি গুলিও মানতে হয়। সবই তো রেসিপ্রোক্যাল। দিলে দিবো, না দিলে দিবো না। বিনিময় প্রথা!!

কিএক্টাবস্থা!

ব্রেইনেরও তো নেওয়ার ক্ষেত্রে লিমিট থাকে। ব্রেইন এত কিছু নিবে কেন? বেশি পরিশ্রম করলে যেমন ক্লান্তি লাগে, বিরক্তিকর লাগে। ব্রেইনেরও সেইরকম লাগে।
এরপরেও অভ্যাসের দাস এই বান্দা ফেসবুকে হাজির থাকি!! অভ্যাস জিনিসটা খুব খারাপ জিনিস রে ভাই!!
ফেসবুক বন্ধুরা আবার যার যার এক্টিভিটির সাথে সাদৃশ্য খুজে পেয়ে আমার লেখায় মাইন্ড করতে পারেন। আসলে কাউকেই কিছু মিন করিনি। ফেসবুকের বিশাল পরিধি এবং পরিসিমার কিছু নমুনা দিলাম মাত্র। এই নমুনা আরো দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হতে পারতো।
এই যে এই লেখাটার পর বিরক্তিকর লাগছে,ক্লান্তি লাগছে।। ব্রেইন বলছে তুই ব্যাটা এই ভর দুপুরে আমাকে শুধু শুধু খাটিয়ে মারলি ।

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles