14.8 C
Toronto
বুধবার, মে ১, ২০২৪

এ বছর জনপ্রতি ফিতরা সর্বোচ্চ ২৬৪০ টাকা, সর্বনিম্ন ১১৫

এ বছর জনপ্রতি ফিতরা সর্বোচ্চ ২৬৪০ টাকা, সর্বনিম্ন ১১৫

এ বছরের সদকাতুল ফিতরের (ফিতরা) হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রবিবার (২ এপ্রিল) সকালে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

- Advertisement -

ইসলামী শরীয়াহ মতে— আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোনও একটি মাধ্যমে ফিতরা প্রদান করা যায়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, গম বা আটার মাধ্যমে ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম কিংবা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা প্রদান করতে হবে।

আর যবের মাধ্যমে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৩৯৬ টাকা, কিসমিসের মাধ্যমে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা, খেজুরের মাধ্যমে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৯৮০ টাকা ও পনিরের মাধ্যমে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিংবা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৬৪০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।

দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপর্যুক্ত পণ্যগুলোর যে কোন একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, উপর্যুক্ত পণ্যগুলোর স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।

প্রসঙ্গত, গত বছর (২০২২) সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ছিল ২ হাজার ৩১০ টাকা।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস-এর গভর্নর মাওলানা মুহাম্মদ কাফিলুদ্দীন সরকার, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক, জামিয়া শরীয়াহ-এর ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি নজরুল ইসলাম, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মুফতি ওয়ালীয়ুর রহমান খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিউদ্দিন কাসেম উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles