9.9 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

খোঁজ মিলেছে আরাভের স্ত্রী কেয়ার

খোঁজ মিলেছে আরাভের স্ত্রী কেয়ার
আরাভ খান

দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করে সারাদেশে আলোচনায় আসেন পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। সম্প্রতি তার দোকান উদ্বোধন করেছেন তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বা দূর থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিডিওবার্তা দিয়েছেন দেশ-বিদেশের অনেক তারকা। চ্যানেল ২৪

মেহেরপুরে আরাভ খানের স্ত্রীর খোঁজ মিলেছে। তার নাম সুরাইয়া আক্তার কেয়া। তার বাড়ি গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামে। সেও ওই পুলিশ হত্যা মামলার আসামি। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ে সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে শাহিন নামের একজনকে বিয়ে করে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন কেয়ার বাবা আবুল কালাম আজাদ।

- Advertisement -

বাবা আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘কেয়ার মা তার খালাতো বোন। বাড়ি তার পাশের বাড়িতে। তার নাম মনোয়ারা বেগম। ১৯৯৬ সালে মনোয়ারার বিয়ে পাশ করলে তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরপর থেকেই তাদের সংসার জীবন ভালোই চলছিল। কিন্তু ২০০০ সালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি মামলায় জেল হয় আবুল কালাম আজাদের। তখন কেয়ার বয়স মাত্র ৩ বছর। মাঝে মাঝে মেয়েকে নিয়ে তাকে দেখতে যেতেন তার স্ত্রী। কিন্তু দীর্ঘদিন জেলে থাকার কারণে তাদের সংসারে ফাটল ধরে। এরই মাঝে বড় হতে থাকে কেয়া। ২০১১ সালে জেল থেকে বের হয়ে আসেন আবুল কালাম। এসে শোনেন তার স্ত্রী তাকে তালাক দিয়েছে। কিন্তু কোনো কাগজপত্র দেয়নি। মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও পারেননি।’

‘স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন বিয়ে করেন উজলপুর গ্রামে। পরে তারা ঢাকায় চলে যান। ২০১৩ সালে এসএসসি পাশ করে কেয়া। তার মা তাকে বাবার অমতে ভর্তি করে দেন ঢাকার একটি ম্যাটস কলেজে। সেখানে চিকিৎসা বিদ্যায় ডিপ্লোমা করতেন কেয়া। তারপর থেকেই মেয়ের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ ছিল না আবুল কালামের।’

তিনি আরও জানান, ‘ঢাকায় ভর্তি হবার কিছুদিন পরই শুনতে পান তার মেয়ে সম্পর্কে জড়িয়েছেন আপন নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। সে নাকি জুয়েলার্স ব্যবসায়ী। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তার সঙ্গে। ২০১৪ ও ১৫ সালে স্বামী আপনকে নিয়ে দুইবার গাড়াডোব গ্রামে তার খালার বাড়িতে বেড়াতে আসেন দু’জনে। তখন বিলাস বহুল জীবন যাপন করতো তারা। কিন্তু বিভিন্ন মারফত সে জানতে পারে তার মেয়ে ও জামায় সন্ত্রাসীকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এরপরই কিছুদিন যেতে না যেতেই খবর আসে কেয়া একটি পুলিশ হত্যা মামলার আসামি। পরে জেলেও যেতে হয় কেয়াকে। এসময় আপন তালক দেয় তাকে। দীর্ঘ কয়েক বছর হাজত বাস করার পর ২০২২ সালে জামিনে মুক্তি পায় সে। পরে সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের শাহিন নামের এক যুবককে বিয়ে করেন কেয়া। তারপর পরই সে স্বামীর সঙ্গে মালয়েশিয়ায় চলে যায়।’

‘তবে মেয়ের এমন কর্মকাণ্ডে মোটেও খুশি নন আবুল কালাম। তিনি আরও বলেন, ভালোবেসে বিয়ে করেছিরাম কেয়ার মাকে। ইচ্ছে ছিল সারাজীবন একসঙ্গে পার করবো। কিন্তু স্ত্রীর খামখেয়ালীপনায় তার মূল্য দিতে হলো মেয়েকে। তার কারণেই মেয়ে এখন হত্যা মামলার আসামি। সে নিজে গোভিপুর গ্রামে একজনের সঙ্গে বিয়ে করে সংসার করছে। আর মেয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বোঝা মাথায় নিয়ে প্রবাসে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এজন্য দায়ী তার মা নিজেই।’

‘তবে কোনো আক্ষেপ নেই আমার। আমি একজনকে বিয়ে করে সংসার করছি। তবে মেয়ের জন্য দুঃখ হয়। কারণ নিজের মেয়েকে তো আর অস্বীকার করতে পারি না’ বলে তিনি জানান।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সুরাইয়া আক্তার কেয়া একটি হত্যা মামলার আসামি। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছে পুলিশ। তার সম্পর্কে অনেকেই ভিন্ন ধরনের তথ্য দিচ্ছে। কেউ বলছেন, দুবাই আছে আবার কেউ বলছেন মালয়েশিয়া আছে। তবে পুলিশ হত্যা মামলায় সে জামিনে ছিল।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles