7.1 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

‘শাকিব খানকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো’

‘শাকিব খানকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো’
শাকিব খান

নতুন কোন সিনেমার শুটিংয়ে গেলে শাকিব খানের অসংখ্য চাহিদা থাকে- এমন অভিযোগ নতুন না। তবে সেই চাহিদার তালিকায় ‘নারী লোভ’র বিষয়টি রীতিমত সবাইকে চমকে দিয়েছে। আর ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ এই নায়কের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। এসব নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় একটি মামলাও করেছেন তিনি। সেই মামলার আর অভিযোগ বুধবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতিতে লিখিত আকারে জমা দেন এই প্রযোজক।

প্রযোজক রহমত উল্লাহ’র দাবী, ২০১৭ সালে চুক্তি মোতাবেক শাকিব খান তার প্রযোজনায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিং শুরু করেন অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু সেখানে শাকিবের অসদাচরণ ও অসহযোগিতার কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পরতে হয়েছে প্রযোজককে।

- Advertisement -

আজ বিকেলে সশরীরে এফডিসিতে লিখিতি অভিযোগে প্রযোজক উল্লেখ করেন, শাকিব খানের ব্যয়বহুল যৌনাচারের। তাকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো, আর তা না হলে তার হোটেল কক্ষে অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীদের নিয়ে আসতে হতো। এই ব্যাপারটি ছিল প্রতিদিনের রুটিন। কখনো কখনো একাধিকবার। এসব যৌনকর্মীদের মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক প্রযোজককেই দিতে হতো।

সেসময় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা তুলে ধরে রহমত উল্লাহ বলেন, ‘একবার শাকিব আমাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। নির্যাতিতা তখন এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত নারী। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার পর তিনি এবং তার পরিবার সামাজিকভাবে যেই গ্লানি এবং কুৎসার স্বীকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তার নিজের এবং তার পরিবারের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওদিন আমরা যখন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত, শাকিব খান সেইদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে চুপিসারে পালিয়ে যান।’

প্রযোজক রহমত উল্লাহ’র ভাষ্য, ‘এরপর থেকে শাকিবের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তিনি আবার অস্ট্রেলিয়ায় আসলে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। সামাজিক চাপে এবং আরও নিগ্রহের ভয়ে নির্যাতিতা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই যাত্রায় ছাড়া পেয়ে যান।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles