শচীন টেন্ডুলকারের বাল্যবন্ধু ও ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলি বিতর্কিত কারণে আবারও সংবাদের শিরোনামে। এবার তার বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে। আর অভিযোগটি করেছেন খোদ তারই স্ত্রী।
কাম্বলির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে তার স্ত্রী মারধর, হেনস্থা ও গালিগালাজ করার অভিযোগ দায়ের করেছেন। যেখানে তিনি নাকি মত্ত অবস্থায় স্ত্রীকে বার বার মারধর, গালিগালাজ ও হেনস্থা করেছেন।
মু্ম্বাইয়ের বান্দ্রা থানায় এফআইআর করেছেন কাম্বলির স্ত্রী। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৪ (স্বেচ্ছায় বিপজ্জনক অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা) ও ৫০৪ (অপমান করা) ধারায় কাম্বলির বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।
কাম্বলির স্ত্রী আন্দ্রিয়া পুলিশকে জানিয়েছেন, মত্ত অবস্থায় কাম্বলি রান্না করার পাত্রের হাতল দিয়ে তার মাথায় মেরেছেন। তার ফলে মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। প্রায় নিত্যদিনের এই সমস্যার সমাধান চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন আন্দ্রিয়া।
তিনি আরও জানান, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে। মত্ত অবস্থায় রাতে বাড়ি ফেরা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রথমে সামান্য ঝগড়া হয় কাম্বলির। তার পরই স্ত্রীকে মারধর ও গালিগালাজ করেন তিনি। ঘটনার একমাত্র সাক্ষী তাদের ১২ বছরের ছেলে। ছেলে কাম্বলিকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। রান্নাঘরে গিয়ে ফ্রাইং প্যান এনে স্ত্রীর মাথা লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন কাম্বলি।
কাম্বলির স্ত্রী পুলিশকে বলেছেন, ‘শান্ত করার চেষ্টা করেও আমি ও ছেলে সফল হইনি। কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের দু’জনকে অকথ্য গালিগালাজ করতে শুরু করে। আমাদের মারধর করতে শুরু করে। রান্নাঘর থেকে ফ্রাইং প্যান নিয়ে ছুড়ে মারে আমাকে। তার পরেও থামেনি। ক্রিকেট ব্যাট দিয়েও মারধর করে আমাদের। কোনও ভাবে ওকে থামিয়ে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছি।’
এদিকে বান্দ্রা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর আন্দ্রিয়া প্রথমে ভাবা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করান। সেখান থেকেই তিনি থানায় যান ও স্বামীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। ঘটনার পর থেকেই মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন কাম্বলি। তাই রাতে তার সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। কাম্বলির খোঁজ করছে পুলিশ। পারিবারিক হিংসা এবং স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার করা হতে পারে বিতর্কিত সাবেক ক্রিকেটারকে।