3.4 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

লাল মাংস খান তবে বুঝেশুনে

লাল মাংস খান তবে বুঝেশুনে
ফাইল ছবি

লাল মাংস পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এ মাংস থেকে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন-(বি১, বি৩, বি৬ ও বি১২), জিংক, সেলেনিয়াম, ফসফরাস ও আয়রন ভালো পরিমাণে পাওয়া যায়। এই পুষ্টি উপাদানগুলোর স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও অনেক। সাধারণত কোনো সুস্থ ব্যক্তি সপ্তাহে দুই দিন লাল মাংস গ্রহণ করলে তা তেমন কোনো জটিলতা তৈরি করে না।

তবে কারোরই দিনে ৭০ গ্রামের বেশি মাংস খাওয়া উচিত নয়। গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা হলো সপ্তাহে দুই দিন বা সপ্তাহে মোট তিন থেকে পাঁচ বেলা। প্রতি বেলায় ঘরে রান্না করা মাংস ১৫ গ্রাম থেকে ২৫ গ্রাম বা দুই-তিন টুকরার বেশি খাবেন না। নিয়ম মেনে মাংস গ্রহণ ও সঠিক উপায়ে রান্না করলে জটিলতামুক্ত থাকা যায়-

- Advertisement -

♦ মাংস রান্নায় দৃশ্যমান জমানো চর্বি বাদ দিয়ে কম তেলে এবং উচ্চ তাপে রান্না করতে হবে।

♦ মাংস রান্নার আগে সম্ভব হলে ৫-১০ মিনিট মাংস সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিলে চর্বির অংশ অনেকটা কমে যায়।

♦ মাংস রান্নার সময় ভিনেগার, টক দই, পেঁপে বাটা ও লেবুর রস ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন, এতে চর্বির ক্ষতিকর প্রভাব কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব।

♦ যাঁদের উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা আছে, তাঁরা একেবারেই না এড়াতে পারলে, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে এক-দুই টুকরা খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে মাংস রান্নায় সবজি ব্যবহার করতে হবে। যেমন : কাঁচা পেঁপে, লাউ, চালকুমড়া, টমেটো কিংবা মাশরুম। কিংবা তাঁরা মাংসের সঙ্গে সবজি মিশিয়ে কাটলেট বা চপ করে খেতে পারেন।

♦ লাল মাংস খাওয়ার কিছুক্ষণ পর লেবু পানি বা টক দই খেলে তা হজম প্রক্রিয়ায় বেশ সাহায্য করে।

♦ মাংস খাওয়ার সময় ঝোল বাদে খাওয়া ভালো। আবার ভুনা মাংসের পরিবর্তে কম তেলে গ্রিল, বারবিকিউ করে বা কাবাব করেও মাংস খাওয়া যায়।

♦ টাটকা লাল মাংসের চেয়ে প্রক্রিয়াজাতকৃত লাল মাংস আরো বেশি ক্ষতিকারক। দৈনিক ৫০ গ্রামের বেশি প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি ৪২ শতাংশ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তবে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ইউরিক এসিড, কিডনি জটিলতাসহ অন্য রোগ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই লাল মাংস খেতে হবে।

 

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles