9.9 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

ফারদিনের প্রেমিকা ছিল কি না, যা বললেন তরুণী

ফারদিনের প্রেমিকা ছিল কি না, যা বললেন তরুণী

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের (২৩) কোনো প্রেমিকা ছিল না। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফারদিনের প্রেমিকা হিসেবে নাম আসায় গত বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এর প্রতিবাদ জানান আরিশা আশরাফ নামের এক তরুণী।

- Advertisement -

স্ট্যাটাসে আরিশা আশরাফ লিখেছেন, ‘ফারদিন নূরের কোনো প্রেমিকা ছিল না। না আমি আর না বুশরা- আমরা কেউই তার প্রেমিকা ছিলাম না। আমার ব্যাপারটা আমি পরের পোস্টে ক্লিয়ার করব, আগে বুশরারটা বলি। ফারদিন নূর যখন নিখোঁজ ছিল, তখন তার ল্যাপটপটা পুলিশ সিজ করার আগে তার ভাইয়েরা বুশরার সঙ্গে তার ম্যাসেঞ্জার কথোপকথন সম্পূর্ণ পড়েছে। যেখানে এমন কিছুই পাওয়া যায়নি যেটা বিন্দুমাত্র আপত্তিকর। সে আর ১০টা ছেলের মতো ছিলই না। এসব কখনোই তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। এ জন্য তাকে রোবট নামে ডাকা হতো। ’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার সঙ্গে তার কী সম্পর্ক সেটা আমি নেক্সট (পরের) পোস্টে জানাব। দয়া করে একটা মৃত মানুষকে নিয়ে না জেনে তার ব্যাপারে উল্টাপাল্টা কথা রটাবেন না। তার পরিবারের কথাটা একটু ভাবুন।’

এদিকে গতকাল শনিবার রাতে ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ফারদিন নূর পরশের সঙ্গে আমাতুল্লাহ বুশরার প্রেমের সম্পর্ক থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বুশরার সঙ্গে ফারদিনের দুই বছরের চ্যাটিং হিস্ট্রি আমরা বের করেছি। সেখানে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। তাদের বেশির ভাগ আলোচনা পড়ালেখা আর ডিবেটিং বিষয়ক। এমনকি তাদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

এর আগে ওইদিন দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ফারদিনের মোবাইলের ডেটা অ্যানালাইসিস ও বিভিন্ন জায়গায় তিনি যার সঙ্গে কথা বলেছেন, সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে, ঢাকা শহরের কোনো এক জায়াগায় খুন হতে পারেন তিনি। মোবাইলের লোকেশনে আমরা নারায়ণগঞ্জও পেয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে তদন্তের স্বার্থে কংক্রিট কিছু বলতে পারছি না। ঢাকা শহরে ফারদিন যেখানে যেখানে গিয়েছিলেন, আমরা বিভিন্ন টেকনিক্যাল মাধ্যম ব্যবহার করে সেসব স্থান খুঁজে বের করেছি।’

গত ৪ নভেম্বর থেকে বুয়েট ছাত্র ফারদিন নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন রাজধানীর রামপুরা থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা কাজী নূরউদ্দিন। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ।

৯ নভেম্বর রাতে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা করেন ফারদিনের বাবা।

সূত্র : আমাদের সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles