1.9 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

কানাডায় ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে

কানাডায় ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে
ভেঙে ফেলা হলো রানির ভাস্কর্য ছবি টিআরটি ওয়ার্ল্ড এর সৌজন্যে

কানাডায় একের পর এক আদিবাসী শিশুদের গণকবর খুঁজে পাওয়ার পর ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। ক্ষোভের জেরে তারা গত বৃহস্পতিবার রানী ভিক্টোরিয়া ও এলিজাবেথ দ্বিতীয়র দুটি ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে দেয়। মানিতোবা অঞ্চলে একদল মানুষ কানাডা দিবসের দিন দড়ি দিয়ে টেনে ভিক্টোরিয়ার ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে। কানাডার বিক্ষোভকারী আদিবাসী গোষ্ঠী ও সংশ্লিষ্ট বিক্ষোভকারীরা শিশু হত্যার জন্য যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারকে দায়ী করে। কিন্তু কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ওই ঘটনার জন্য চার্চকে দায়ী করে পোপ ফ্রান্সিসকে ক্ষমা চাইতে বলেন। ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা যায়নি ট্রুডোকে। কানাডার জাতীয় দিবসে আলবার্টা এলাকায় ১০টি গির্জায় ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ এসব ভাঙচুরের ঘটনাকে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক অবিচারে সৃষ্ট ক্ষোভের সম্পর্কিত বলে দাবি করেছে। তদন্তকারীরা বলছেন, কালগারি শহরের গির্জাগুলোতে কমলা ও লাল ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ভাঙচুরের ঘটনা এমন সময় ঘটল যখন কানাডায় বেশ কয়েকটি খ্রিস্টীয় আবাসিক স্কুলে আদিবাসী শিশুদের দেহাবশেষ উদ্ধারের ঘটনা সামনে আসছে। ১৯ ও ২০তম শতাব্দীতে আদিবাসী শিশুদের সভ্য করে তোলার নামে পরিচালিত হতো ১৩০টিরও বেশি আবাসিক স্কুল। কানাডার সরকার ও ধর্মীয় কর্র্তৃপক্ষ এসব স্কুল পরিচালনা করত। প্রসঙ্গত, কানাডা তখন ছিল ব্রিটিশ উপনিবেশ। এসব স্কুলে শিশুদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ছিল। গত মে মাসে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কামলুপস এলাকার একটি পুরনো আবাসিক স্কুলের ভবন থেকে ২১৫ শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। পরের মাসে সাসকাচেওয়ান প্রদেশের পুরনো একটি আদিবাসী আবাসিক স্কুলে মেলে ৭৫১টি কোনো চিহ্ন না থাকা কবর। সর্বশেষ গত বুধবার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যের ক্রানব্রুক এলাকার একটি স্কুলের কাছে ১৮২টি কবর পাওয়া যায়।

- Advertisement -

আলবার্টার প্রিমিয়ার জ্যাসন কেনি বৃহস্পতিবার জানান, কালগারি শহরের আফ্রিকান ইভানজেলিকাল গির্জায় ভাঙচুর হয়েছে। এ গির্জায় প্রার্থনাকারীরা বেশিরভাগ শরণার্থী। এরা কানাডায় এসেছিলেন শান্তিপূর্ণ উপায়ে ধর্মীয় বিশ্বাস পালনের জন্য। গির্জায় হামলার ঘটনা অনেকে মানসিকভাবে আহত হয়েছে। ঐতিহাসিক অবিচার তাদের এ জায়গায় নিয়ে এসেছে। কালগারি পুলিশ জানায়, ভাঙচুরের এসব ঘটনা ঘটেছে বুধ ও বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে। যেসব স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে সেগুলো সবই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles