11.9 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

ভোটযুদ্ধে সামিল দুই সতিন ও সাবেক স্বামী-স্ত্রী

ভোটযুদ্ধে সামিল দুই সতিন ও সাবেক স্বামী-স্ত্রী

জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভোটযুদ্ধে দুই সতিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা দুজনই সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে এলাকায় চলছে নানারকম আলোচনা-সমালোচনা।

- Advertisement -

আর পূর্বধলায় সাবেক এক দম্পতি ভোটের মাঠে রয়েছেন। অবশ্য তাদের মধ্যে একজন সাধারণ সদস্য পদে, অন্যজন সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে অংশ নিয়েছেন।

দুর্গাপুরে একে অপরের মুখোমুখি হওয়া দুই সতিন হলেন- আনোয়ারা বেগম ও সুরমী আক্তার। তারা দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র ও বালু ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিনের স্ত্রী। আলালের বড় স্ত্রী আনোয়ারা বেগম লড়ছেন তালা প্রতীক নিয়ে। আর ছোট স্ত্রী সুরমী আক্তারের প্রতীক অটোরিকশা।

অন্যদিকে পূর্বধলায় সাধারণ সদস্য পদে স্বামী মো. আফতাব উদ্দিনের প্রতীক অটোরিকশা, আর তার সাবেক স্ত্রী শাহনাজ পারভীনের প্রতীক হরিণ। অবশ্য সম্প্রতি স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়া স্কুলশিক্ষক শাহনাজ পরভীন সংরক্ষিত নারী আসনে অংশ নিয়েছেন। তার নির্বাচনী এলাকা পূর্বধলা ছাড়াও দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলা।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে নেত্রকোনায় সংরক্ষিত নারী সদস্যে ৩টি পদে ১২ জন ও সাধারণ সদস্যে ১০টি পদে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছেন দুর্গাপুরে সাধারণ সদস্য পদে মেয়র আলাল উদ্দিনের দুই স্ত্রী আনোয়রা বেগম ও সুরমী আক্তার।

ওই আসনটিতে তারা দুজন ছাড়াও জুয়েল মিয়া ও মো. আবদুল করিম নামের দুই পুরুষ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল লতিফ শেখ।

আলাল উদ্দিনের বালু ব্যবসার একজন সহযোগী জানান, আনোয়ারা বেগম আলালের বড় স্ত্রী। তিনি দুর্গাপুর পৌরশহরের আত্রাখালি এলাকায় বসবাস করেন। আর সুরমী আক্তারকে নিয়ে আলাল শহরের তেরিবাজার এলাকায় থাকেন। তবে আলাল বেশ কিছু দিন ধরে শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

বর্তমানে ঢাকার শ্যামলীতে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি অসুস্থ হওয়ায় এ ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে একই পদে আলালের দুই স্ত্রীর প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তার কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত ওই ব্যবসায়িক অংশীদার বলেন, ছোট স্ত্রী সুরমী আক্তারের প্রতি মেয়রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। কিন্তু বড় স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে অনেক মানা করেও তিনি ফেরাতে পারেননি। এর পেছনে হয়তো কিছু লোকের ইন্ধন রয়েছে। দুই স্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে মেয়র আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি খুবই বিব্রত।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই সতিন আনোয়ারা ও সুরমীর মধ্যে অনেক আগে থেকেই সম্পর্কের বৈরিতা রয়েছে। দুজনের নির্বাচনী পোস্টারে দেখা গেছে, আনোয়ারা বেগম ও সুরমী আক্তারের পোস্টারে স্বামীর নাম ও পরিচয় উল্লেখ করেছেন।

সুরমী আক্তার বলেন, আমার নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার স্বামী অনেক আগে থেকেই কাজ করে আসছিলেন। তাছাড়া পারিবারিক সিদ্ধান্তেই আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার সতিন আনোয়ারা বেগমকে প্রার্থী করেছে।

আনোয়ারা বেগম বলেন, মেয়রের যখন কিছুই ছিল না, তখন আমিই তাকে আঁকড়ে রেখেছি। এখন তার টাকা-পয়সা, প্রতিপত্তি সব হয়েছে। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকেন। ওই নারী যা বলেন, মেয়র তাই করেন। এবার আমার কর্মী-সমর্থকরা আমাকে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে দেখতে চান। তাদের সমর্থনে আমি প্রার্থী হয়েছি।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles