মাত্র তিন বছরের শিশু। প্রস্রাব চাপতে না পেরে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলেছিল। এই অপরাধে তাঁর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অঙ্গনওয়াড়ির শিক্ষক ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কর্ণাটকের তুমকুরু জেলার গোড়কেরে অঙ্গনওয়াড়ি ডে কেয়ার সেন্টারে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দিনই প্রস্রাব চাপতে না পেরে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলত ৩ বছরের শিশুটি। তা নিয়ে নিত্যদিন বকুনি খেত। অভিযোগ, শিশুকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে চেয়েছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক ও তাঁর সহযোগী। দু’জনে মিলে দেশলাই কাঠি জ্বালিয়ে ছোট্ট শিশুর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে দেন। শোনা গিয়েছে, আগুনে শিশুর গোপনাঙ্গের পাশাপাশি ঊরুরও বেশ কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছে।
ঘটনার পরই যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে শিশুটি। ছুটির পর কোনওমতে বাড়িতে পৌঁছায়। শিশুকে দেখেই তার পরিবারের লোকেরা বুঝতে পারেন কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। শিশুকে প্রশ্ন করতেই সমস্ত কিছু জানতে পারেন। শিশুর আঘাতও দেখতে পান। এরপরই স্কুল ও থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। স্থানীয় পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে জেলার শিশু সুরক্ষা বিভাগ।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই অঙ্গনওয়াড়ির অভিযুক্ত শিক্ষক এবং তাঁর সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ৩ বছরের শিশুর পরিবারের সদস্যদেরও বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনায় গোটা এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ির বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষজন ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। তিন বছরের শিশুর এখনও ভালভাবে বোধঝ তৈরি হয়নি। একজন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী তার সঙ্গে এমন নৃশংস কাজ কীভাবে করতে পারেন? সূত্রের খবর মানলে, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষক এবং তার সহযোগীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন