14.1 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

প্রধান শিক্ষিকাকে নিয়ে টিকটক করায় সহকর্মীকে কান ধরে ওঠবস

প্রধান শিক্ষিকাকে নিয়ে টিকটক করায় সহকর্মীকে কান ধরে ওঠবস

প্রধান শিক্ষিকাকে নিয়ে টিকটক ভিডিও তৈরি করায় রাজশাহীর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। এর আগে গতকাল বুধবার সকালে পবা উপজেলার হাড়ুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

- Advertisement -

লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী জানান, অসাবধানতাবশত একটি টিকটক ভিডিও তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাই ডে’তে চলে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নাজমা ফেরদৌসী সহকর্মীকে কান ধরে ওঠবস করিয়েছেন। ঘটনার সময় স্কুলের জমিদাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজ উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নাজমা ফেরদৌসী বলেন, ‘ওই শিক্ষিকা দীর্ঘ দিন ধরে আমাকে নিয়ে টিকটক ভিডিও বানায়। অন্য মেয়ের শরীরে আমার মাথা লাগিয়ে দেয়। এ নিয়ে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও শোনেনি। চার দিন আগে সর্বশেষ যে ভিডিওটা ফেসবুকে দেওয়া হয়, সেটাতে নাচানাচি করা একটা মেয়ের শরীরে আমার মাথা লাগানো হয়। পাশে অন্য পুরুষ দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে নিয়ে তিনি এসব বানাতে পারেন না।’

নাজমা ফেরদৌসী আরও বলেন, ‘ওই শিক্ষিকার স্বামী মারা গেছেন। তাই তাকে সমীহ করি। কিন্তু তার অপরাধ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় পড়ে। এ কারণে ডেকে একটু বকাবকি করেছি। কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ একেবারে বানোয়াট। তিনি যেহেতু বড় অপরাধে ফেঁসে যাচ্ছেন, সেটা থেকে বাঁচতে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’

পবা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বুধবার লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। আমি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে বিষয়টি তদন্ত করিয়েছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আগামী রোববার বসব। তখন বিস্তারিত বলা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্কুলটিতে শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। ভুক্তভোগী শিক্ষিকা অভিযোগে লিখেছেন যে তাকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছে। এটা যদি হয়ে থাকে তাহলে একেবারেই ঠিক হয়নি। আবার একজন শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষককে নিয়ে টিকটক বানাবেন, এটাও গ্রহণযোগ্য নয়।’

তবে এ বিষয়ে এখনও অবগত নন বলে জানান রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ আমাকে জানায়নি। আমার কাছে লিখিত অভিযোগও আসেনি। এ রকম কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে খোঁজ নেওয়া হবে।’

সূত্র : আমাদের সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles