নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় এক গৃহবধূকে নগ্ন করে ভিডিও ধারণ ও তার স্বামীকে আটক রেখে চাঁদা দাবির ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি ও চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার আবু বক্কর ছিদ্দিক তানভির কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউপি সদস্য মোস্তাফিজের ভাই এবং হাজী সোলায়মানের ছেলে। অপর আসামি ইকবাল হোসেন একই গ্রামের তাজুল ইসলাম চেয়ারম্যানের ছেলে ।
গৃহবধূ জানান, গত ২৬ জুলাই রাত ১০টার দিকে গৃহবধূ তার পরিবারের সব সদস্যসহ রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর আসামি আবু বক্করের নেতৃত্বে রাজন, আলতাফ, ইকবাল, রুহুল আমিন, ফারুকসহ অন্যান্য আসামিরা দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢুকে। ওই সময় আসামি আলতাফ গৃহবধূকে নগ্ন করে এবং রাজন মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। অন্যান্য আসামিরা গৃহবধূর স্বামী কামালকে বেধড়ক মারধর করে দুটি মোবাইল, নগদ ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
গৃহবধূর স্বামীর কাছে দুই লাখ চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে না পারায় তাকে চরএলাহী ইউপিতে নিয়ে আটক করে রাখে। এ সময় ভয়ে পালিয়ে যান গৃহবধূ। তারপর স্বামী কামালের কাছে নগদ টাকা না থাকায় বাছুরসহ একটি গাভি নিয়ে যায়। পরের দিন সকালে বিয়ের কাবিন দেখালে চরএলাহী ইউপি থেকে স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। গৃহবধূ ও তার স্বামী সন্তানকে হত্যার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চরএলাহী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনার কিছু জানি না। আমার পরিষদে কাউকে আটক করা হয়নি।
কবিরহাট থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় এজহার নামীয় আসামি ৭ জন এবং অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০-১২জনকে।
ওসি আরো জানান, চরএলাহী ইউপিতে গৃহবধূর স্বামীকে আটকে রেখে চাঁদা আদায় এবং দাবির বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত প্রদক্ষেপ নেয়া হবে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বুধবার সকালে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ