-0 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

অভিনব প্রতারণা : ৪ লাখ টাকার নাটক ১৫ হাজারে বিক্রি!

অভিনব প্রতারণা : ৪ লাখ টাকার নাটক ১৫ হাজারে বিক্রি!
ছবি সংগৃহীত

নাট্য নির্মাতা স্ম্যাক আজাদের রচনা ও পরিচালনায় ‘রেস্ট ইন পিস’ নাটকটি টি ডি দীপকের প্যানেলে এডিট করার পর (স্ম্যাক আজাদ) প্রযোজক শাওন রুদ্রকে বুঝিয়ে দেন। শাওন রুদ্র তার পরিচিতি ছোট ভাই পরিচালক মহিন চৌধুরীর কাছে দিতে বলে। টি ডি দীপক ও শরীফ, মহিন চৌধুরীকে নাটকের মাস্টার কপি বুঝিয়ে দিলে এর ২-৩ দিন পর মহিন চৌধুরী নাটকটি তার কম্পিউটার মধ্যে থেকে রুদ্রকে না জানিয়ে কপি করে রাখেন।

তারপর নাটকটি শাওন রুদ্রকে বুঝিয়ে দেয়। এর মধ্যে মহিন নাটকটি বিক্রি করার জন্য কয়েক জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে বয়াতি বাড়ি ইউটিউব চ্যানেলের রেজওয়ান আহমেদ জিসানের কাছে মহিন চৌধুরী ও সোহাগ বিশ্বাস ৪০ হাজার টাকা নাটকের সব শর্ত ১৫ হাজার টাকা ক্যাশ, ২৫ হাজার টাকা বাকি রেখে বিক্রি করে দেয়।

- Advertisement -

বিক্রি করার সময় ১০০ টাকার একটি স্ট্যাম্পে এ নাটকের নাম ভুল এবং রাইটার, পরিচালক, প্রযোজক, আর্টিস্টের নাম উল্লেখ না করে সোহাগ বিশ্বাস ডিডে এই নিয়ম ভঙ্গ করে নিজ হাতে ডিড লিখে নিজেই সাক্ষী দেন। তারপর জিসান ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে প্রমো আপলোড দেয়। এই বিষয়টা নাটকের পরিচালক স্ম্যাক আজাদের চোখে পড়ে। স্ম্যাক আজাদ, মহিন ও জিসানের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারে এই নাটক বিক্রি হয়ে গেছে। তবে স্মাক আজাদ শাওন রুদ্রকে ফোন দিয়ে জানতে পারে নাটক বিক্রি করেনি, প্রতারণা করেছে। মহিন ও জিসানকে বলা হয় পুরো নাটকটি আপলোড না দিতে।

জিসান কোনো কথা না শুনে নাটকটি আপলোড দেয়। তাদের মানা করা হলে জিসান ও মহিন আরও ১৫ হাজার টাকা দাবি করে। স্ম্যাক আজাদ ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার পরও জিসান ও মহিন নাটকটি ডিলিট করেনি। উল্টো মহিন আরও ২ লাখ টাকা দাবি করে। এরপর শাওন রুদ্র, স্মাক আজাদ বুধবার (১ জুন) রমনা থানায় মহিন চৌধুরী, রেজওয়ান আহমেদ জিসান, সোহাগ বিশ্বাস ও ফজলে রাব্বি মাহির বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।

শুক্রবার (১০ জুন) সাব ইন্সপেক্টর সালমান রহমান মহিন চৌধুরী ও রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে। দুইজন এখন রমনা থানায়। বাকি দুইজন পলাতক।

এ প্রসঙ্গে পরিচালক স্ম্যাক আজাদ জানান, নাটকটি বানাতে আমাদের ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু তারা প্রতারণা করে মাত্র ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। আমাদের না জানিয়ে এ কাজ করে। এটা প্রতারণা। এটা জানার পরও তাদের সঙ্গে কোনো প্রকার ঝামেলা না করে মিমাংসার চেষ্টা করি। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি, উল্টো তারা হয়রানি করে। তাই বাধ্য হয়ে রমনা থানায় মামলা করি।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles